পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বলেছে, ভারতে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন করে মৃত্যুর ঘটনায় দোষীরা ছাড় পেয়ে যাচ্ছে। এমনকি মৃত ব্যক্তিরা আত্মহত্যা করেছে বা স্বাভাবিক কারণে তারা মারা গেছে বলে উল্লেখ করা হচ্ছে।
এইচআরডব্লিউ গতকাল জানায়, সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করার মতো যথাযথ গ্রেফতারি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করার কারণে পুলিশ হত্যাকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে। সরকারি তথ্যানুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে পুলিশ হেফাজতে কমপক্ষে ৬৭৫ জন মারা যায়। মানবাধিকার সংগঠনের এক তদন্তে দেখা গেছে, তারা বেল্ট বা বুট দিয়ে মারধরের শিকার হয়েছে।
গতকাল প্রকাশিত মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিবেদনের লেখক জয়শ্রী বাজোরিয়া বলেন, এসব মৃত্যুর ঘটনা যেহেতু প্রকাশ্যে হয়নি, সুতরাং তাদের মৃত্যু কিভাবে হয়েছে তার কারণ খুঁজে বের করা খুবই দূরূহ। কারণ প্রত্যক্ষদর্শী অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা তাদের সহকর্মীদের বাঁচাতে সচেষ্ট থাকে। তিনি বলেন, পুলিশের জবাবদিহিতা না থাকায় ভারতে তাদের হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় দোষীরা ছাড় পেয়ে যাচ্ছে। এইচআরডব্লিউ পুলিশ হেফাজতে ১৭ জনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে দেখেছে, প্রত্যেক ক্ষেত্রে যথাযথ গ্রেফতারি প্রক্রিয়া মানা হয়নি।
এক ব্যক্তির মৃত্যু সম্পর্কে মুম্বাইয়ের এক পুলিশ কর্মকর্থা জানান, সে ছিল সাংঘাতিক অপরাধী। সে কোন তথ্য দিচ্ছিল না। তাই তাকে পেটানো হয়। তিনি বলেন, পেটানোর পর সে খুব দুর্বল হয়ে পড়ে। এরপর সে পানি খেতে চায়। সে ব্যথায় কোঁকাতে থাকে এবং জানালার ওপর পড়ে যায়। এতে তার নিচের চোয়াল ভেঙে যায়। পুলিশ কারাগারে মৃত্যুর জন্য আত্মহত্যা, অসুস্থতা ও স্বাভাবিক কারণ উল্লেখ করলেও এইচআরডব্লিউ দেখেছে, শক্তি প্রয়োগের কারণে আঘাত পেয়ে তাদের মৃত্যু ঘটছে। সূত্র : এএফপি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।