Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গুজব রোধে করণীয়

পরীক্ষিৎ চৌধুরী | প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

ফের চাঙ্গা হয়ে উঠেছে গুজবের কারবারীরা। বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা তথ্যকে ‘সংবাদ’ আকারে পরিবেশন করে ষড়যন্ত্রের জাল ফেলা হচ্ছে। সেই জালে জড়িয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ। আতঙ্ক ছড়াতে তৈরি করা হচ্ছে গুজবের চোরাস্রোত। সেই চোরাস্রোতে তলিয়ে যাচ্ছে নিরীহ মানুষ। সহজলভ্য ইন্টারনেটের আশ্রয় নিয়ে সূক্ষ্ম কৌশলে এসব বানোয়াট তথ্য প্রচারিত হচ্ছে। ব্যবহার করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ফেইসবুক, ইউটিউব। দেশ বিদেশ থেকে স্বনামে, বেনামে অহরহ বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। পাঠকের নিশ্চয় মনে আছে, পদ্মা সেতুর জন্য শিশুর মাথা খোঁজা হচ্ছে বলে ছড়ানো হয়েছিল। যে গুজবের শিকার হন একজন মা। শিশু অপহরণকারী ভেবে গুজবের ফাঁদে পা দেওয়া উত্তেজিত জনতা গণপিটুনি দিয়ে তাঁকে মেরে ফেলে।

এভাবেই গুজব বা মিথ্যা তথ্যের প্রচার হলে প্রকৃতপক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নিরীহ মানুষই। এই ফাঁদে না পড়তে সচেতন হতে হবে। গুজব বা মিথ্যা তথ্য ও প্রকৃত সংবাদের মাঝে পার্থক্য বুঝতে হবে। হতে হবে প্রকৃত তথ্যসমৃদ্ধ। সাম্প্রতিক সময়ে ‘মিডিয়া লিটারেসি’ বা ‘গণমাধ্যম সাক্ষরতা’ বলে একটি শব্দবন্ধ সারা বিশ্বে চালু হয়েছে। ‘মিডিয়া লিটারেসি’ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে, লেখালেখি হচ্ছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এ নিয়ে বিশেষ বিভাগ খোলা হয়েছে। বলা হচ্ছে, প্রতিটি মানুষকে গণমাধ্যম ব্যবহার করার সাক্ষরতা অর্জন করতে হবে। আরো একটি শব্দবন্ধ সারা বিশ্বে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। ফেইক নিউজ বা ভুয়া সংবাদ। যদিও ‘ফেইক নিউজ’ শব্দজোড়াকে অনেক যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ মেনে নেননি। তাঁদের মতে, মিথ্যা বা ভুয়া তথ্য কখনোই সংবাদ উপাধি পেতে পারে না। ‘সংবাদ’ সবসময় বস্তুনিষ্ঠ। যে তথ্য মিথ্যা তাকে সংবাদ বলাই যাবে না। ‘ভুয়া সংবাদ’ প্রাচীনকাল থেকেই চলমান। তবে গত কয়েক বছরে ইন্টারনেট ও আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির বিস্তার ঘটাতে এর ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন মানুষের হাতেই তথ্য ভাণ্ডার। মোবাইল ফোনে প্রতি মুহুর্তে লক্ষ লক্ষ তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে দুনিয়া জুড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়াতে গুজব ছড়ানোর হার বেড়ে গিয়েছে। এই সংকট বিশ্বব্যাপী। বাংলাদেশ এর বাইরে নয়।

সরকার ও সমাজ সমষ্টিগতভবে ভুয়া তথ্য মোকাবিলায় যা-ই করুক না কেন, এই ফাঁদ থেকে মুক্তি পেতে ব্যক্তি মানুষকেই সবার আগে সচেতন হতে হবে। জানতে হবে ফেইসবুক বা ইউটিউব থেকে কোন তথ্য নিতে হবে, কোন তথ্যটিকে দেখা মাত্র ডিলিট করে দিতে হবে। মোকাবিলার চার ধাপ ভুয়া তথ্য মোকাবিলায় ইংরেজি অক্ষর ‘সি’ দিয়ে তৈরী চারটি শব্দ বিবেচনায় নিতে বলেছেন বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা। এগুলোর প্রথমটি হলো, ক্যারেকটারাইজেশন। যে কোনো তথ্য যখন কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্যাড বা মোবাইল ফোনের পর্দায় ভেসে উঠবে, কোন লক্ষ্য নিয়ে এই তথ্য প্রচার হচ্ছে, তার চরিত্র নির্ধারণ করাই হবে প্রথম কাজ। কিছু অনলাইন পোর্টাল বা সংবাদপত্র চটকদারি শিরোনাম দিয়ে তার কাটতি বাড়াতে চায়। ইন্টারনেটের বিস্তারে ‘ভুয়া তথ্য’ কীভাবে ইলেক্ট্রনিক মাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ায় সুন্দর সাজসজ্জা নিয়ে ‘সংবাদ’ আকারে পরিবেশিত হতে পারে তাকেও বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে। গুজবের লক্ষ্য হতে পারে সামাজিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করা, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ফায়দা লুটা। বলা হচ্ছে, দেশের ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট সৃষ্টি হয়েছে, আমানতকারীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করাই এর মূল লক্ষ্য।

নানা ফরম্যাটে গুজব বানানো হয়ে থাকে। পাঠককে বিচার করতে হবে ‘ভুয়া সংবাদে’র মাঝে ইচ্ছাকৃত প্রোপাগাণ্ডা বা ষড়যন্ত্রমূলক কিছু রয়েছে কিনা। ফেইসবুক, ইউটিউব এমনকি মূলস্রোতধারার গণমাধ্যমে প্রচারিত তথ্যের চরিত্র বুঝতে হবে সবার আগে। এমনকি সত্যিকারের ছবি বা কোন ঘটনার সাথে কিছুটা মিল রেখেও বিকৃতভাবে সংবাদ সাজানো হতে পারে। রয়টারস ইন্সটিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব্ জার্নালিজম’ ভুয়া সংবাদকে ভুয়া তথ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে যেগুলো বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে প্রচার করা হয়; হয় সেটা রাজনৈতিক, নয়তো আর্থিক লক্ষ্য। ফ্রিডম অব্ দ্য নেট রিপোর্ট ২০১৭ সালে এক জরিপে দেখেছে তুরস্ক, ভেনিজুয়েলা ও ফিলিপাইনসহ ১৭ টি দেশে তথ্যের বিকৃতি ঘটিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা হয়েছিল। ভুয়া তথ্য চেক করার জন্য সম্প্রতি তথ্য অধিদফতরে একটি ‘ফ্যাক্ট চেকিং কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। কমিটি গত পাঁচ মাসে ২২টি গুজব সনাক্ত হয়েছে। সেগুলো চিহ্নিত করে চওউ ইউ ফেইসবুকে আপলোড করা হয়েছে। এগুলো বিবেচনায় নিয়ে দেখা গেছে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে উল্লিখিত প্রায় সব কয়টি ফরম্যাটেই গুজবগুলো ছড়ানো হয়েছে।

ক্যারেক্টারাইজেশনের পরের ধাপটি হচ্ছে ক্রিয়েশন। কে তথ্য তৈরি করে প্রচার করছে, কার কাছ থেকে ফেইসবুকে বা ইউটিউবে আসলো তা যাচাই করে দেখতে হবে। তথ্যের অন্তর্গত চরিত্র যেমন বোঝা দুষ্কর, তেমনি প্রায় সময় তথ্য নির্মাতা বা প্রচারকারীর মূল চরিত্র চিহ্নিত করাও দুঃসাধ্য। ক্রিয়েটর কখনো কখনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান হতে পারে, আবার কখনো হতে পারে কোন ব্যক্তিও। তাই তথ্যের চরিত্র বিচারের মধ্য দিয়ে তথ্য নির্মাতা বা উৎসের চরিত্র অনুমান করাই শ্রেয়। মানুষকে ধোঁকা দিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর ক্ষেত্রে প্রায় সময় ফেইসবুক-এ ভুয়া আইডি ব্যবহার করা হয়। আধুনিককালে গুজব রটনাকারীরা নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রায় সময় বিদেশ থেকে গুজব ছাড়ানো হচ্ছে ফলে তাদেরকে চিহ্নিত করা গেলেও আইনের আওতায় আনা কঠিন হচ্ছে। তৃতীয় ধাপটি হলো সার্কুলেশন। কীভাবে একটি তথ্য ছড়াতে পারে তাকে চিহ্নিত করা এই ধাপের লক্ষ্য। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সম্পসারণে একটি তথ্য মূহুর্তের মধ্যে বিশ্বের যে কোন প্রান্তে পৌঁছে যেতে পারে। দুইটি প্রধান কারণে এমন হয়, প্রযুক্তিগত সুবিধা এবং তথ্যের প্রতি মানুষের দুনির্বার মোহ।

এক্ষেত্রে ফেইসবুকের মতো প্ল্যাটফরম শক্তিশালী ভূমিকা রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের ৫০টি দেশে ৫৪% মানুষ সংবাদের জন্য ফেইসবুককে প্রাথমিক চ্যানেল হিসেবে বেছে নেয়। ফলে গুজব রটনাকারীও ফেইসবুককে শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে বেছে নেয়। আরো একটি শক্তিশালী মাধ্যম হলো ইউটিউব –যেখানে যে কোনো পুরানো বা অপ্রাসঙ্গিক ভিডিও জুড়ে দিয়ে গুজবের গভীরতা বাড়িয়ে দেয়া যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তথ্য যাচাই বাছাই করে প্রকাশ করার জন্য কোনো গেইটকিপার থাকে না। যেটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক সংবাদ মাধ্যমে এডিটররা করে থাকেন। ফলে ভুয়া তথ্য বিনা বাধায় পাঠকের কাছে চলে আসে। তাই মূল স্রোতের গণমাধ্যম ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যমের ওপর আস্থা রাখা যাবে না। গুজবের ব্যাপকতার সবচেয়ে ক্ষতিকর দিক হচ্ছে এটা ধীরে ধীরে সকল ধরনের সংবাদ মাধ্যমের ওপর মানুষের আস্থা নিশ্চিহ্ন করে দেয়। মানুষ কোনটি গুজব আর কোনটি সত্য এই দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে কোনো ধরনের সংবাদকেই আর আস্থায় নিতে পারে না। এই পরিস্থিতি যে কোনো সমাজের জন্য ভয়াবহ। জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৮০% ও সুইডেনে ৭৬% মানুষ ভুয়া তথ্য দেখতে দেখতে মূল সত্য নিয়ে অত্যধিক সন্দেহপ্রবণ হয়ে পড়ে।

ভুয়া তথ্য ঠেকানোর সর্বশেষ ধাপ কাউন্টারিং বা প্রতিকার। এটা তিনভাবে হতে পারে- আইনগত, মানুষকে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সাক্ষর করে তোলা এবং ফ্যাক্ট চেকিং ব্যবস্থা শক্তিশালী করা। ইউরোপীয় কমিশন ২০১৮ সালে ডিজিটাল তথ্য ইকোসিস্টেমের স্বচ্ছতা বাড়াতে বলেছে। পাশাপাশি মিডিয়া সাক্ষরতা বাড়ানো, গণমাধ্যম ব্যবহারকারী ও সাংবাদিকদের জন্য তথ্য বিকৃতি প্রতিরোধে নতুন কৌশল বের করা, মিডিয়ার সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা এবং তথ্য বিকৃতি বিষয়ে নিয়মিত গবেষণা ও জরিপ চালানোর চারটি সুপারিশ করেছে তারা। হেইট স্পিচ, ফেইক নিউজ ও বেআইনি তথ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে বাধ্য করতে বিভিন্ন দেশে ইতোমধ্যে আইন প্রণীত হয়েছে। আমাদেরর দেশে গুজব প্রতিরোধে তথ্য মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বরাবরের মতোই তৎপর রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে এবং নজরদারিতে রয়েছে আরও অনেকে। জনগণের কাছে যেন সঠিক তথ্য দ্রুত পৌঁছে যায় সে লক্ষ্যে সচেতনতামূলক তথ্যবিবরণী গণমাধ্যমে প্রেরণ করতে তথ্য অধিদফতরের সংবাদকক্ষ সার্বক্ষণিক খোলা রয়েছে। তথ্য অধিদফতরসহ বিভিন্ন দপ্তর নিয়মিত গুজববিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে। গুজব ঠেকাতে মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলোকে আরও বলিষ্ঠ হতে হবে। নাগরিক সচেতনতা সৃষ্টিতে ‘কাউন্সেলিং’ একটি কার্যকর পদক্ষেপ হতে পারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচেতনতামূলক পোষ্ট দেওয়া আরেকটি কার্যকর উপায়। এক্ষেত্রে প্রশাসনের পাশাপাশি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। সচেতন নাগরিকদের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের মধ্যেও গুজববিরোধী সচেতনতা বাড়াতে হবে।

লেখক: তথ্য অধিদফতরের সিনিয়র তথ্য অফিসার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
function like(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "clike_"+cid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_like.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function dislike(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "cdislike_"+cid; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_dislike.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rlike(rid) { //alert(rid); var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rlike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_like.php?rid="+rid; //alert(url); xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rdislike(rid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rdislike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_dislike.php?rid="+rid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function nclike(nid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "nlike"; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com//api/insert_news_comment_like.php?nid="+nid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } $("#ar_news_content img").each(function() { var imageCaption = $(this).attr("alt"); if (imageCaption != '') { var imgWidth = $(this).width(); var imgHeight = $(this).height(); var position = $(this).position(); var positionTop = (position.top + imgHeight - 26) /*$("" + imageCaption + "").css({ "position": "absolute", "top": positionTop + "px", "left": "0", "width": imgWidth + "px" }).insertAfter(this); */ $("" + imageCaption + "").css({ "margin-bottom": "10px" }).insertAfter(this); } }); -->