Inqilab Logo

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য যত প্রয়োজন তত মুজিব কিল্লা নির্মাণ করা হবে : মায়া

| প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ভূমিকম্প মোকাবিলায় শুধু রাজধানী নিয়ে আমাদের চিন্তা করলে হবে না। সকল শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলের জন্যও ভূমিকম্প মোকাবিলার সক্ষমতা নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। গতকাল সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ২০১৬-২০২০ প্রণয়ন উপলক্ষে জাতীয় কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় সাইক্লোনে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সরকার যত প্রয়োজন তত মুজিব কিল্লা নির্মাণ করতে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। অতিশীঘ্রই এর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
২০২০ সালের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান ও জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণে আগামী দিনগুলোতে জলবায়ুর আরও নেতিবাচক পরিবর্তন বাংলাদেশকে নির্মম ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারে। তাই আমাদের দুর্যোগের সাথে খাপ খাইয়ে বেঁচে থাকার প্রযুক্তি বের করতে হবে।
তিনি বলেন, ভূমিকম্প মোকাবিলায় শুধু রাজধানী নিয়ে আমাদের চিন্তা করলে হবে না। সকল শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলের জন্যও ভূমিকম্প মোকাবিলার সক্ষমতা নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। উপকূলীয় সাইক্লোনে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সরকার “যত প্রয়োজন তত” মুজিব কিল্লা নির্মাণ করতে পরিকল্পনা নিচ্ছে। শীঘ্রই এর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রতিবন্ধিতাকে সম্পৃক্ত করে এর মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশে^ নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী বলে মন্ত্রী কর্মশালায় উল্লেখ করেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক মান অর্জন করতে সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্কের আলোকে প্রতি বছরের জন্য সুনির্ধারিত টার্গেট নির্ধারণ করতে মন্ত্রী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক মান অর্জন করতে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা অর্জন ও প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন কাজে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে সম্পৃক্ত করতে নিবিড় যোগাযোগের উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন ত্রাণ নয়, সক্ষমতা অর্জন-এই লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। তাই আমাদের অধিক মনোযোগ দিতে হবে পূর্ব প্রস্তুতিতে। ২০২১ সালের পূর্বেই সরকার প্রচলিত টিআর, কাবিখা, জিআর ইত্যাদি সাহায্য পরিকল্পনা থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। প্রত্যেকটি দুর্যোগ মোকাবিলায় আলাদাভাবে কর্মপরিকল্পনা ও মনোযোগ নিবিষ্ট করতে হবে। যে কোন দুর্যোগে মৃত্যু হার শুন্যে নামিয়ে আনার কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ ও তা বাস্তবায়ন করতে হবে। ভৌগোলিক অবস্থান ও জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশ দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর অন্যতম।
তিনি বলেন, সরকারের প্রত্যেকটি সংস্থার সাথে নিয়মিত বসতে হবে। তাদের উন্নয়ন কর্মকা- কতটুকু দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ বা আমাদের কতটুকু প্রত্যাশা-সকল সংস্থাকে তা বুঝাতে হবে। বিশেষত এলজিইডি, সিটি করপোরেশন, গণপূর্ত, পানিসম্পদ, নৌপরিবহন, কৃষি, মৎস্য, পশুসম্পদ, মহিলা ও শিশু, উচ্চ ও প্রাথমিক শিক্ষা ইত্যাদি মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার আন্তর্জাতিক মান ও তাদের কর্মপরিকল্পনায় এর অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। উন্নয়নকে টেকসই করতে প্রত্যেকটি উন্নয়ন পরিকল্পনায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বিশেষত শহরভিত্তিক, উপকূলীয় এবং উত্তরাঞ্চলের এলাকার জনগণকে সচেতন করার উপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। তাদেরকে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার বাস্তব ও নিবিড় পদক্ষেপ নিতে হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগ যে লাভজনক, সে সম্পর্কে জনগণকে স্বচ্ছ ধারণা দিতে হবে। এখানে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেকের দায়িত্ব, কর্তব্য নির্ধারণ করে দায়িত্বে অবহেলার জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামালের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ সম্ভু, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহম্মেদ, বাংলাদেশে ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জী প্রমুখ। 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মায়া

৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
২৫ জুলাই, ২০২১
১২ জুন, ২০১৭

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ