গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় আরও দুটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) মতিঝিল ও শাহজাহানপুর থানায় এসব মামলা করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট তিনটি মামলা করা হলো।
মতিঝিল থানায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। এ মামলায় আসামি করা হয়েছে বিএনপির ২৮ নেতাকর্মীকে। ওই মামলায় ২০ জন গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মতিঝিল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে নাশকতার অভিযোগ এনে বিএনপির তিন শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করেছে। এতে ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেনসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন মোল্লা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শাহজাহানপুর থানার মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনের সামনে মহাসমাবেশের অনুমতি না পেয়ে শাহজাহানপুরের চাঁনমারী বাটক্রসিং এলাকায় লাঠিসোঠা, লোহার রড, ইট-পাটকেল, ককটেল ও বিভিন্ন মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাস্তায় যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ও সরকার বিরোধী স্লোগান দেয়। এসময় তারা নাশকতামূলক ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম করতে থাকে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা করে। এসময় কালো টেপ লাগানো জর্দার কৌটা সদৃশ পুরাতন টিনের কৌটা, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
এর আগে নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা হয়। এতে বিএনপির ৪৭৩ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫০০-২০০০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। পুলিশ বাদী হয়ে এই মামলাটি করেছে।
বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অনেকে। পরে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালানো হলে চাল, পানি, খিচুরি ও নগদ টাকা পাওয়া যায় বলে জানায় পুলিশ।
অভিযান চলাকালে নয়াপল্টন থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।