Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডেঙ্গু থেকে সাবধান

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০১ এএম

সাধারণত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগের প্রার্দুভাব দেখা যায়। তবে এবার অক্টোবর থেকে এই চলতি ডিসেম্বর মাসেও এ ভাইরাসের কারণে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। যারা আগে এক বা একাধিকবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন এখন তারা আবারো আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি জটিল রূপ নিচ্ছে। এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এবার যে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে পারে, তা কয়েক মাস ধরেই আলোচনায় আসছিল। বিশেষজ্ঞরা বারবার কর্তৃপক্ষকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ যেসব কার্যক্রম পরিচালনা করেছে তা কতটা পর্যাপ্ত ছিল, এ প্রশ্ন উঠতেই পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কর্তৃপক্ষ অতীত থেকে শিক্ষা নেয়নি বলেই ডেঙ্গু এবার এতটা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। যশোর, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া হিসাবে জানা যায়, সারাদেশে ২৮ হাজার ৬৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ১১০ জনের। ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আগে ঢাকায় বেশি থাকলেও এখন দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়ছে। যশোরে ৪৩১ রোগীর ৩৪৭ জনই ভবদহের। ভবদহ জলাবদ্ধ অঞ্চলে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। লোকালয়ে জমে থাকা পানিতে এডিস মশার বংশ বিস্তার ঘটায়। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ওসব এলাকায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক হিসাবে বলছে, গোটা যশোর জেলায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪৩১ জন; এর মধ্যে অভয়নগর উপজেলাতেই আক্রান্ত হয়েছে ৩৩১ জন। আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশে মশা এবং মশাজাতীয় কীটপতঙ্গের উপদ্রব বেড়েছে। কাজেই মশক নিধন যেন ‘মৌসুমি টেনশন’ হিসাবে সীমাবদ্ধ না থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে। মশক নিধন কর্মসূচি বছরজুড়ে চলমান রাখতে হবে। অভিযোগ রয়েছে, কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর কারণে রাজধানীর মশক নিধন কার্যক্রমে কাক্সিক্ষত সাফল্য আসছে না। এ অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। মশক নিধন কর্মকাণ্ডের সার্বিক ব্যবস্থাপনা দুর্নীতিমুক্ত রাখতে হবে।

সুমাইয়া আকতার
শিক্ষার্থী, বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজ



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন