গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
![img_img-1722036533](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678211639_df.jpg)
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
১০ ডিসেম্বর ঢাকায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হবে জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গ্রেফতার, আক্রমণ করে কেউ গণসমাবেশ রুখতে পারবে না। জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দীন টুকু ও সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়নকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, সুলতান সালাহউদ্দীন টুকু ও নুরুল ইসলাম নয়নকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা রাজশাহীতে গেল বক্তব্য রাখলো অথচ ঢাকায় ফেরার সময় প্রবেশ পথে গ্রেফতার করা হল। গ্রেফতার করে গণজোয়ার ঠেকানো যাবে না জানিয়ে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, সূর্যের আলো হাত দিয়ে বলো রুখিতে পারে কি কেউ? টুকু-নয়নদের ধরে ঠেকানো যাবে না গণজোয়ারের ঢেউ।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, আপনারা গণগ্রেফতার করছেন, কেন করছেন? কি অন্যায় করেছে আমাদের নেতাকর্মীরা? কেন এই গ্রেফতার অভিযান? আপানারা যে বেতন পান, পরিবার যেটা দিয়ে রক্ষণাবেক্ষণ হয়, সন্তানরা যে স্কুলে যায়, সেই স্কুলের বেতন দেন সেটা সরকারি বেতনের টাকায়। সরকার বেতন দেয় কোথা থেকে, শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত টাকায়? এটা জনগণের ট্যাক্সের টাকায়। ওই জনগণের ট্যাক্সের মধ্যে বিএনপির সমর্থক, বিএনপির লোক, নেতাকর্মীদের ট্যাক্স আছে। তাহলে হাসিনার কথায় আপনারা অত্যাচার, জুলুম, গ্রেফতার করছেন কেন?
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আমরা ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশ করতে চেয়েছি। এই গণসমাবেশ কিসের জন্য? কিছু দাবির প্রেক্ষিতে। সমাবেশের জন্য আমরা পল্টনে অনুমতি চেয়েছি, কারণ নেতাকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু আপনারা সে কথার গুরুত্ব দিচ্ছেন না। অন্যদিকে যুবলীগের কাউন্সিল সাফল্যম-িত করার জন্য এই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সারা ঢাকা শহর সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল। অথচ আমরা বাংলাদেশের বিরোধী দল আমরা কর্মসূচি করতে পারবো না। কর্মসূচির আগে সারা বাংলাদেশে গ্রেফতার অভিযান চলে। এক দেশে দুই আইন চলতে পারে না। আমরা সেটা চলতে দিতে পারি না। ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ হবে। এই গণসমাবেশ কেউ রুখতে পারবে না।
চট্টগ্রামে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী অনেক অমার্জিত কথা বলেছেন, বলেছেন দুর্নীতিবাজ, খুনিদের দল বিএনপি। প্রধানমন্ত্রী আপনার বয়স ৮০’র কাছাকাছি হয়ে গেছে, আল্লাহর কাছে আপনার জবাব দিতে হবে। জবাব দেয়ার জন্য কি আপনার কোন প্রস্তুতি নেই। ছাত্রলীগের নেতা ২ হাজার কোটি টাকা পাচার করে আপনি শুনেনি। বাংলাদেশের কোন সংবাদ মাধ্যম কি আপনি পড়েন না? নাকি সারাদিন মিথ্যা কথা বলার অভ্যাস করেন?
আগামী দিনে সংগ্রামের জন্য সকলকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, অনেক আক্রমণ হবে তারপরও সাহস করে দাঁড়াতে হবে।
এসময় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানি, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।