মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউরোপীয়রা ইউক্রেনকে আর অস্ত্র সরবরাহে সমর্থন দিতে আগ্রহী নয়। ২৭টি ইউরোপীয় দেশের ১৩ হাজার নাগরিকদের মধ্যে বার্টেলসম্যান ফাউন্ডেশনের করা একটি মতামত জরিপ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ‘অধিকাংশ ইউরোপীয়রা এখনও ইউক্রেনের ইইউতে যোগদানের পক্ষে। শরণার্থী গ্রহণের জন্য তাদের প্রস্তুতি অনেক বেশি। তবে, সমস্ত ইইউ দেশে অস্ত্র সরবরাহের অনুমোদনকারী লোকের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে,’ সমীক্ষার লেখকরা বলেছেন।
জরিপকৃত জার্মান নাগরিকদের প্রায় ৫৭ শতাংশ মার্চ মাসে ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা সমর্থন করেছিল। সেপ্টেম্বরে যখন জনমত জরিপ করা হয়েছিল, তখন এই সংখ্যাটি ৪৮ শতাংশে নেমে আসে। ফ্রান্সে, এ সংখ্যা ছিল মার্চে ৬৭ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরে ৫৪ শতাংশ, যখন স্পেনে অনুমোদনের হার ৬৬ শতাংশ থেকে ৫৭ শতাংশে নেমে গেছে। পোল্যান্ড ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের জন্য সর্বোচ্চ স্তরের সমর্থন দেখায় (৭৬ শতাংশ), যেখানে ইতালীয়রা সবচেয়ে কম উৎসাহী (৩৬ শতাংশ)।
সামগ্রিকভাবে, অর্ধেক ইউরোপীয়রা সামরিক সহায়তাকে প্রয়োজনীয় বলে মনে করে, যা মার্চের তুলনায় ছয় শতাংশ পয়েন্ট কম। মার্চ মাসে ইউরোপীয়দের মধ্যে ৭৪ শতাংশ মানুষ ব্যায়বৃদ্ধি সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনার বিপক্ষে কথা বলেছেন। তবে সেপ্টেম্বর সেই সংখ্যা কমে ৬৭ শতাংশে নেমে এসেছে।
বাইডেনের সাথে আলোচনায় বসতে রাজি আছেন পুতিন : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে আলোচনায় বসতে রাজি আছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের পর শুক্রবার নিজেদের প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানিয়েছে ক্রেমলিন। জো বাইডেন বলেন, যদি পুতিন আসলেই যুদ্ধ বন্ধ করতে চান, তাহলে আমি তার সাথে আলোচনায় বসতে রাজি আছি। শুক্রবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, এ মুহূর্তে আমাদের কাছে স্বার্থরক্ষার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো, শান্তিপূর্ণ কূটনৈতিক পন্থা অবলম্বন করা। স্বার্থরক্ষায় রুশ ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট আলোচনার জন্য সব সময় প্রস্তুত ছিলেন, আছেন ও থাকবেন। তবে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতেও রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনা কঠিন হবে বলে মনে করেন পেসকভ। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনের যে চারটি অঞ্চল অধিগ্রহণ করেছে, যুক্তরাষ্ট্র সে অধিগ্রহণের স্বীকৃতি দেয়নি।
এদিকে, শুক্রবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা তাস নিউজ এক প্রতিবেদনে জানায়, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। সেসময় পুতিন জার্মান চ্যান্সেলরকে বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমারা যে অবস্থান নিয়েছে তা ধ্বংসাত্মক। জার্মানিকে তাদের অবস্থান বদলানো উচিৎ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট শর্ত দেন, আলোচনার আগে পুতিনকে ইউক্রেন থেকে সব রুশ সেনা প্রত্যাহার করে নিতে হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পেসকভ বলেন, রাশিয়ার পক্ষে এ শর্ত মানা সম্ভব নয়। ইউক্রেনে আমাদের অভিযান চলবে। ৩০ সেপ্টেম্বর ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া, খেরসন, লুহানেস্ক ও দোনেৎস্ক অধিগ্রহণ বিলে সই করেন পুতিন। এর আগে এ অঞ্চলগুলোতে গণভোট আয়োজন করে রাশিয়া। তবে এ গণভোটকে সাজানো বলে দাবি করে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো জানায়, তারা কখনোই ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেবে না।
রাশিয়া-ইউক্রেন নতুন আলোচনায় গুরুত্বারোপ এরদোগানের : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনার আয়োজনের প্রচেষ্টা পুনরায় শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন। গত শুক্রবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সাথে তার টেলিফোন কলের পর তুর্কি নেতার প্রশাসন একথা জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট এরদোগান জোর দিয়ে বলেন যে, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি ভিত্তি স্থাপন করা হবে সব পক্ষের স্বার্থে’। তাছাড়া, এরদোগান এবং সুনাক সামরিক শিল্প ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রের পাশাপাশি আঞ্চলিক সমস্যাসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন। ‘প্রেসিডেন্ট এরদোগান আশা প্রকাশ করেছেন যে, ন্যাটোর অংশীদার দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সাধারণ জ্ঞান এবং কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি বিরাজ করবে’।
এরদোগান সাইপ্রিয়ট সমস্যার সমাধানের দিকে নতুন দৃঢ় পদক্ষেপের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। সূত্র : তাস, আল-জাজিরা,
রয়টার্স, আরটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।