Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ৫৯

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ৪:০৭ পিএম

ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে বৃহষ্পতিবার রাত পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৯ জন মারা গিয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। কর্তৃপক্ষ জানায় ভারী বর্ষণ ও দমকা হাওয়া দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় সুলাওয়েসি দ্বীপের অধিকাংশ বাড়িঘর ভাসিয়ে নিয়ে যায়। খবর আল-জাজিরা।
বুধবার ও বৃহস্পতিবারের প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে প্রায় ৩ হাজার ৪০০ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত দুই ডজনের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। প্রদেশটিতে বৃষ্টির ফলে নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ৯ টি জেলা প্লাবিত হয়ে স্থানীয় সব সম্প্রদায়কে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
দক্ষিণ সুলাওয়েসির দুর্যোগ প্রশমন বিভাগের প্রধান শ্যামসিবার ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি’র কাছে শুক্রবার বলেন, ‘আমি এমন খারাপ কোন কিছু কোনদিন দেখিনি, এটা সবচেয়ে খারাপ। এখনও ২৫ জন নিখোঁজ রয়েছে।’ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৩০ ছিল। তিনি আরও বলেন, ‘গোওয়া জেলা সবচেয়ে ভয়াবহ হতাহতের শিকার হয়েছে যেখানে ৪৪ জনকে মৃতাবস্থায় খুঁজে পাওয়া যায়। অনেক ইন্দোনেশিয়ানদের একই নাম রয়েছে।’
ভূমিধসের ফলে একটি প্রধান সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে, কর্তৃপক্ষ উদ্ধার তৎপরতা চলমান রাখতে হেলিকপ্টারযোগে সাহায্য পাঠিয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। প্রাদেশিক রাজধানীর অংশ মাকাসারও এই দুর্যোগ কবলিত হয়েছে।
আকাশ থেকে নেয়া ছবিতে দেখা যায় বাদামি মাটি মিশ্রিত পানি প্রবাহে জমি ভাসিয়ে নিয়ে খাদে তৈরি করে ফেলেছে। কিছু এলাকায় পানি প্রবাহ এতটাই বেশি যা ঘরবাড়ি ও ধংসাবশেষ ভাসিয়ে নিয়ে যায়। যাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদেরকে বিভিন্ন বিদ্যালয়, মসজিদ কিংবা তাবু টানিয়ে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে কমপক্ষে ৪৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রাস্তায় রাস্তার কোমর গভীর পানি উঠে গিয়েছে তার ভেতর বাসিন্দারা ভেসে যাচ্ছিল, কেউ কেউ তাদের মাথার ওপরে তাদের মালামাল বহন করেছিল, কারণ তারা দুর্যোগ নিরসন সংস্থা কর্তৃক আশ্রয়স্থল এবং মাঠের ভেতর অস্থায়ী রান্নাঘর তৈরি করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার সংস্থাটি জানায় যে, প্রদেশে বন্যা হ্রাস পাচ্ছে যদিও ‘অনুসন্ধান ও নির্বাসন প্রক্রিয়া এখনও চলছে।’ জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার মুখপাত্র সুতপো পুরো নুগরোও বলেন, ‘আমরা জনগণকে বন্যা ও ভূমিধসের সম্ভাবনা সম্পর্কে সর্বদা সচেতন হতে বলি।’ বন্যায় ঘর, সরকারি ভবন, স্কুল ও সেতুও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দুর্যোগ-প্রবণ ইন্দোনেশিয়াতে ভূমিধস ও বন্যা খুবই সাধারণ, বিশেষ করে অক্টোবর ও এপ্রিলের মাঝামাঝি মৌসুমের সময়, যখন দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দ্বীপপুঞ্জের বৃষ্টিপাত হয়। অক্টোবরে সুমাত্রা দ্বীপের বেশ কয়েকটি জেলায় ঝড় ও ভূমিধসে অন্তত ২২ জন প্রাণহানি ঘটেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইন্দোনেশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ