বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকার কেরানীগঞ্জে এক বাক প্রতিবন্ধী নারী লতা সরকারকে ধর্ষণ ও পুড়িয়ে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও মূল আসামি সুজন(২৫)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকাল ১১ টায় ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান এর কার্যালয় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্যটি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে একপ্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যায় ঘাতক মূল আসামি সুজন নিহত লতা সরকারের বাড়ির পাশেই একটি বালির গদিতে কাজ করতো। এই সুবাদে সে লতা সরকারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে । এই সূত্র ধরেই সুজন লতা সরকারের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এতে লতা সরকার তাকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। লতার সাথে তার শারীরিক সম্পর্কের কথা কাউকে যেন বলে না দেয় এজন্য সে বাক প্রতিবন্ধী নারী লতা সরকারকে ভাগিয়ে নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর সোমবার রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের সাবান ফ্যাক্টরি সড়কের পাশে একটি অন্ধকার জায়গা আসে। এ সময় সে বাক প্রতিবন্ধী নারীকে প্রথমে কিল খুশী মারে। এতে বাক প্রতিবন্ধী নারী চিৎকার করলে সুজন তাকে গলা টিপে ধরলে বাক প্রতিবন্ধী নারী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এ সময় সুজন মনে করে বাক প্রতিবন্ধী নারী লতা সরকার মরে গেছে। তাকে যেন কেউ চিনতে না পারে সেজন্য তার শরীরে আগুন ধরিয়ে সে পালিয়ে যায়। ওই রাতেই ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্যার সলিমুল্লা মেডিকেল হাসপাতালে ও পরে সেখান থেকে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করে। সিআইডির বিশেষজ্ঞ টিম বাক প্রতিবন্ধী নারীর ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে তার নাম পরিচয় সনাক্ত করেন । গত ২৯ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। ওই রাতেই নিহত লতা সরকারের ভাই স্বপন সরকার বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজ ও হাসপাতালে মৃত্যুর পূর্বে পুলিশের কাছে দেওয়া ভাষ্য বিশ্লেষণ করে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে গত ২ ডিসেম্বর শুক্রবার আসামি সুজনকে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার তেগাছিয়া বাজারের শশুর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার কৃত সুজনের বাবার নাম মোঃ দাদন মিয়া। বাড়ি শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থানার কোদালপুর গ্রামে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা দক্ষিণ ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোবাশশারা হাবিব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশেষ শাখা সাজেদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেরানীগঞ্জ সার্কেল মোঃ শাহাব উদ্দিন কবীর ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহজামান প্রমূখ ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।