২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া আজকাল খুব পরিচিত একটি সমস্যা। যিনি এই সমস্যায় আক্রান্ত তিনি ছাড়াও সেই পরিবারের সদস্যরা নানারকম বিড়ম্বনা এবং কষ্টের স্বীকার হয়ে থাকেন। যদিও ডিমেনশিয়ার বিভিন্ন কারণ আছে। তবে বয়স বাড়ার সাথে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া রুগী সব দেশেই আছে। এই ধরনের স্মৃতিশক্তি কমতে থাকা খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। বয়স জনিত কারণে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, এটা আমাদের দেশে আগের চেয়ে অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে ।
আবার কিছু কিছু অসুখের কারনে যখন ডিমেনশিয়া হয়, তখন অসুখের চিকিৎসা করলে এই ডিমেনশিয়া ভাল হয়ে যায়। অন্যদিকে বয়সজনিত কারণে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার চিকিৎসা করলেও খুব একটা ভাল ফল পাওয়া যায়না ।
আবার ডিপ্রেশন বা হতাশা আমাদের দেশে দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমাদের সমাজে ছোট, বড়, ধনী, গরীব সবার মাঝেই বর্তমানে অস্থিরতা বাড়ছে। বাড়ছে নানা ধরনের দুর্ঘটনা। হতাশ মানুষের সংখ্যা কিন্তু পৃথিবীর সর্বত্রই বাড়ছে। হতাশা থেকেও কিন্তু ডিমেনশিয়া হতে পারে। ডিপ্রেশন হলে সেই ব্যক্তি কোন কাজে আগ্রহ পান না। আগে যেসব কাজে আনন্দ পেতেন বা যে কাজ তিনি ইনজয় করতেন সেসব কাজ তিনি আর এখন আগ্রহ নিয়ে করতে পারেন না। ডিপ্রেশন হলে অনেক সময় খাবার রুচি কমে যায়, আবার কারও কারও খাবার রুচি অনেক বেশি বেড়েও যায়। ডিপ্রেশনে ঘুম কমে যেতে পারে, আবার অনেক বেশি বেড়েও যেতে পারে। আরো নানারকম উপসর্গ ডিপ্রেশন বা হতাশা হলে দেখতে পাওয়া যায়।
তাই দেখা যায় কোন ব্যক্তি যদি ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হন তবে তার ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিশক্তি কমে যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে ডিপ্রেশনের যদি উপযুক্ত চিকিৎসা করা হয় তাহলে কিন্তু ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সমস্যা অনেক কমে যায়। নানা কারণে ডিপ্রেশন বা হতাশা বাড়ছে। ডিপ্রেশনে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া সহ আরো নানা রকম সমস্যা হয়। তাই ডিপ্রেশন হলে অবহেলা নয়, অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে, একজন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে এবং তার পরামর্শমতো ওষুধ সেবন করতে হবে, প্রয়োজনে অন্যান্য থেরাপিও নিতে হবে। ডিপ্রেশনের চিকিৎসা করালে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সমস্যা অনেক কমে যাবে। তাই বলব, ডিপ্রেশন হলে লুকিয়ে না রেখে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। তাতে সুন্দর একটি জীবন উপভোগ করতে পারবেন এবং বহু সমস্যা এবং বহু জটিলতা হাত থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব হবে।
ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।