মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মালয়েশিয়ায় সাধারণ নির্বাচনের পর দুই দিন পেরিয়ে গেলেও, এখন পর্যন্ত জোট সরকার গঠনে অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি কোনো পক্ষ। তবে পাকাতান হারাপান প্রধান আনোয়ার ইব্রাহিম ও পেরিকাতান ন্যাশনাল প্রধান মহিউদ্দিন ইয়াসিন পৃথক সংবাদ সম্মেলনে সংখ্যাগরিষ্ঠ এমপির সমর্থন পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন। এর মধ্যে বারিসান ন্যাশনালের আহ্বানে সাড়া দিয়ে জোট সরকার গঠনে সমর্থনপ্রাপ্ত এমপিদের তালিকা জমা দানে এক দিন বাড়তি সময় দিয়েছেন দেশটির রাজা। সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন পাবার দাবিদার উভয় নেতাকে আজ ২টার মধ্যে সমর্থন দেয়া এমপিদের তালিকা জমা দিতে হবে।
এদিকে গতকাল আনোয়ারের পাকাতান হারাপানের সাথে জোট গঠনের ব্যাপারে বারিসান ন্যাশনাল নেতারা আলোচনায় মিলিত হন। এর আগে বারিসান জোটের মূল দল উমনু নেতারা ৪ ঘণ্টা ধরে দলের করণীয় নির্ধারণে বৈঠকে মিলিত হন। এই বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন বারিসান ন্যাশনালের চেয়ারম্যান আহমদ জাহিদ হামিদী। তবে পেরাক ও পাহাং রাজ্যে পাকাতান ও বারিসান জোট কোয়ালিশন সরকার গঠনে সম্মত হয়েছে। এটাকে আনোয়ার ইব্রাহিম কেন্দ্রে পাকাতান-বারিসান জোট সরকার গঠনে ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। খবর স্টার অনলাইন, মালয়েশিয়াকিনি, মালয় মেইল ও ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে’র।
খবরে বলা হয়, মালয়েশিয়ার রাজা সুলতান আবদুল্লাহ আহমাদ শাহ আজ মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) দুপুর ২টার মধ্যে এমপিদের সমর্থনের তালিকা জমা দেয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। তার জারি করা নোটিশে সব জোটকে ২১৯টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১১২টি আসন নিয়ে জোট সরকার গঠনের তালিকা জমা দিতে বলা হয়। তালিকা পাওয়ার পর নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করবেন তিনি। দেশটির ১৫তম সাধারণ নির্বাচনে ২১৯টি সংসদীয় আসনের মধ্যে কোনো রাজনৈতিক জোটই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন এবং বিরোধীদলীয় নেতা আনোয়ার ইব্রাহিম আলাদা সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ এমপির সমর্থনে তারা জোট সরকার গঠনের জন্য প্রস্তুত।
মালয়েশিয়ার প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ আনোয়ার ইব্রাহিমের দল পাকাতান হারাপান পরবর্তী সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ১১২ আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অতিক্রম করেছে। সোমবার আনোয়ার নিজেই এমন তথ্য দিয়েছেন। অন্য দিকে পেরিকাতান ন্যাশনাল (পিএন) জোটের প্রধান মুহিউদ্দিন ইয়াসিনও সরকার গঠনের প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের দাবি করেছেন।
গতকাল সোমবার সেরি প্যাসিফিক হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলন করার পর হল থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, ‘আমরা ১১২ আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অতিক্রম করেছি, এটা সত্যিই আনন্দজনক বিষয়।’ পাকাতান হারাপান জোট মালয়েশিয়ার পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে জোটের প্রধান আনোয়ার এমন মন্তব্য করেন।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে আমনো দলের সেমব্রং এলাকার এমপি দাতুক সেরি হিশামুদ্দিন হোসেনের প্রস্তাবিত বারিসান-পাকাতান চুক্তির বিষয়ে সমালোচনার জবাব দেন আনোয়ার। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে এখানে কোনো ডিএপি বা পাকাতান দলের সরকারের বিষয় নেই। এটা জোট সরকার, ঐক্য সরকার। আমি মনে করি তাকে (হিশামুদ্দিন) তার মতামত সংশোধন করতে হবে।’
আনোয়ার ইব্রাহিম আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেরিকাতানের চেয়ারম্যান মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের সমর্থনে নির্দিষ্ট আমনো এমপিদের দ্বারা স্বাক্ষরিত সংবিধিবদ্ধ ঘোষণা (এসডি) তাদের দলের সদস্যপদে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি বলেন, ‘এটা বরিসানের সাথে চুক্তির বিরুদ্ধে যাবে। এ কারণে পেরিকাতানের সমর্থনে স্বাক্ষরিত সংবিধিবদ্ধ ঘোষণা বা এসডি’ জমা দেয়ার মাধ্যমে এই চুক্তির বিরুদ্ধে যাওয়া এমপিদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। এ বিষয়টা এর আগে বারিসান ন্যাশনালের বিবৃতিতেও বলা হয়েছে। এর আগে পেরিকাতান ন্যাশনাল (পিএন) দলের প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন বলেন যে, তিনিও সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছেন।
এ বিষয়ে আনোয়ারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এ প্রশ্নটা পেরিকাতান জোটের কাছে করতে হবে।’ মালয়েশিয়ার পেরাক অঞ্চলে বারিসান ও পাকাতান জোটের ঐক্য সরকার সম্পর্কে আনোয়ার বলেন, এটা একটি ভালো শুরু। কারণ, এর মাধ্যমে এটা দেখা যাচ্ছে যে বারিসান এবং পাকাতান জোট সরকার গঠনের জন্য একত্রিত হতে পারে। এ সময় উপ-প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীর বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ার বলেন, ‘আমাকে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করতে দিন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।