Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ডেঙ্গু প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

| প্রকাশের সময় : ২২ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বর একটি আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত এই রোগটি সাধারণত গ্রীষ্মকালীন হলেও এই অক্টোবর-নভেম্বরেও দেশে মারাত্মকভাবে বিস্তৃতি লাভ করেছে। ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে এর প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলছে। তাই ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এডিস মশার বংশবিস্তার রোধ সম্পর্কে ব্যপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এক্ষেত্রে সংবাদ মাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তাছাড়া বিভিন্ন সেমিনার সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করেও এ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা সম্ভব। এডিস মশার বংশবিস্তারোধ কল্পে এর উৎপত্তিস্থল চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বাড়ির আশেপাশে ঝোপঝাড়, ফুলের বা শাকসবজির বাগান, ফুলের টব, ডাবের খোসায় জমে থাকা পানি, ফেলে দেওয়া কোল্ড ড্রিংকসের বোতল, পানির বোতল, ফ্রিজ বা এয়ারকন্ডিশনারের জমে থাকা পানি এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযুক্ত স্থান। এমনকি বেসিন কিংবা টয়লেটের কমোডে জমা পানি থেকেও এই মশার বিস্তার লাভ করতে পারে। যেহেতু এই মশা দালানকোঠায় থাকতে বেশি পছন্দ এবং মানুষের কাছাকাছি থাকে, তাই শহরের মানুষের ডেঙ্গু ভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তাছাড়া দ্রুত নগরায়নের ফলে শহর ছেড়ে মফস্বলেও ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। যেহেতু ডেঙ্গু ভাইরাস প্রতিরোধের টিকা এখনো আবিষ্কৃত হয়নি, সেহেতু এটি প্রতিরোধের উপযুক্ত প্রক্রিয়া হলো জনসচেতনতা সৃষ্টি করা। তাই, বাড়ির আঙ্গিনা, ঝোপঝাড়, ফুলের টবসহ যেখানে এডিস মশা বংশবৃদ্ধি করে থাকে, সেসব স্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এছাড়াও ডেঙ্গুর উৎপত্তি, বিস্তার, নির্মূলে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। গবেষণার মাধ্যমে পর্যাপ্ত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে এ সমস্যা প্রতিকার ও প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে।

মেশকাতুন নাহার
প্রভাষক, কচুয়া বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ, চাঁদপুর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন