মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বেশ কয়েকমাস ধরেই দেশে বিদ্যুৎ নিয়ে বেশ হইচই চলছে। লোডশেডিংয়ের মাত্রাও অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। বিদ্যুৎ ছাড়া জীবন বর্তমান যুগে ভাবাই যায় না। চাহিদা বাড়তে থাকা এবং জ্বালানি সংকটের কারণে দেশে বিদ্যুতের অভাব দেখা যাচ্ছে। ভবিষ্যতে জ্বালানির ভাণ্ডার ফুরিয়ে গিয়ে বিদ্যুতের অভাব আরও বাড়বে, এমন আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এরকম পরিস্থিতিতে মুশকিল আসান করতে এগিয়ে এসেছে ব্রিটেনের একটি শহর। মজাদার উপায়ে সাধারণ মানুষই সেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবেন। তাও কোনো খরচ ছাড়াই।
কিন্তু এত সহজে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় নাকি? ব্রিটেনের টেলফোর্ড শহর এই কাজটি করে দেখিয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কী করতে হবে? কিছুই না, শুধু একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বেশ কিছুক্ষণ ধরে হাঁটতে হবে। ব্যস, তাহলেই হয়ে গেল।
মানুষের পায়ের চাপেই বিদ্যুৎ তৈরি হয়ে যাবে। আপাতত মোবাইল চার্জ দেওয়ার জন্য উৎপাদিত এই বিদ্যুৎ কাজে লাগানো হচ্ছে।
জানা গেছে, প্রায় ছয় ফুট লম্বা একটি রাস্তা বানানো হয়েছে। যখনই কেউ ওই নির্দিষ্ট রাস্তায় চলাফেরা করছেন, তাদের পায়ের চাপেই বিদ্যুৎ তৈরি হয়ে যাচ্ছে। এখানেই শেষ নয়। একজন ব্যক্তি হেঁটে কতটা বিদ্যুৎ তৈরি করতে পারলেন, তার হিসাবও দেখা যাবে।
প্রথমে অবশ্য এই উদ্যোগকে খুব একটা সমর্থন করেননি স্থানীয় বাসিন্দারা। বিপুল অর্থ ব্যয় করে আসলে অপচয় করছে প্রশাসন, এরকমটাই মনে করা হত। তবে ধীরে ধীরে ছবিটা বদলাতে শুরু করে।
ব্রিটেনের শ্রোপশায়ারের টেলফোর্ডের কাউন্সিলর ক্যারোলিন হেইলি বলেছেন, “ট্রেন ধরতে যাওয়া-আসার পথে এই রাস্তায় কিছুটা সময় হেঁটে নিচ্ছেন।”
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, “হেঁটে নিলেই ফোনে চার্জ দেওয়া যাচ্ছে। প্রথমে ব্যাপারটা শুনে বেশ অবাক লেগেছিল। তাই খতিয়ে দেখতে এসেছিলাম। তবে এখন ব্যাপারটা বেশ ভালো লাগছে।”
পরিবেশের কথা মাথায় রেখেই অপ্রচলিত পন্থা ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপায় খুঁজছে বিশ্বের সব দেশই। টেলফোর্ডের এই অভিনব উদ্যোগের নেপথ্যেও রয়েছে পরিবেশ সচেতনতার বিষয়টি।
ক্যারোলিনের মতে, “এই উদ্যোগের ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়বে।”
পাওয়ার পাথ নামে এই উদ্যোগের নেপথ্যে রয়েছে যে সংস্থা, তারা চায় এই প্রকল্প যেন আরও বহু মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। তবে ব্রিটেন নয়, দুবাই ও হংকংয়ের কিছু জায়গাতেও এই পাওয়ার পাথ তৈরি করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।