পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, সিঙ্গাপুরের সঙ্গে সমঝোতা সহযোগিতা (এমওসি) সই করতে পেরে আমি সত্যিকার অর্থে খুবই খুশি। সিঙ্গাপুর আমাদের অনেক পুরনো বন্ধুদেশ। এই সমঝোতা সইয়ের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যেকার সম্পর্ক আরও বহুদূর এগিয়ে যাবে। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকায় সফররত সিঙ্গাপুরের ট্রান্সপোর্ট, ট্রেড রিলেশনস ও শিল্পমন্ত্রী এস ইসওয়ারানের সঙ্গে উভয় দেশের মধ্যে মিটিং শেষে বাণিজ্য স¤প্রসারণ, সেবা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে মেমোরেনডাম অফ কো-অপারেশন (এমওসি) স্বাক্ষরের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ঢাকায় নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাই-কমিশনারসহ সিঙ্গপুরের ট্রেড মিনিস্টারের নেতৃত্বে আগত প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিঙ্গাপুরের শিল্পমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিকত সহযোগিতা বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। বাংলাদেশের কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর গড়ে উঠছে। বাণিজ্য ও পর্যটন বৃদ্ধির জন্য এ বিমানবন্দর খুবই সহায়ক হবে। আইসিটি খাতে সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে। বাংলাদেশের পর্যটনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে প্রচারনা বৃদ্ধি করতে পারে। বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আজকে আমাদের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের একটি মেমোরেনডাম অফ কো-অপারেশন (এমওসি) সই হলো সামনের দিকে ব্যবসা বাণিজ্যসহ অন্যান্য বিষয়ে কিভাবে এগিয়ে যাবো সেটা নিয়ে। আজকে জাস্ট শুরু হলো। আমরা সামনের দিকে তাকাচ্ছি যে আরও কতো বেশি কাজ করা যায়। উভয় দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত মেমোরেনডাম অব কো-অপারেশন (এমওসি) বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা রাখবে।
তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরের ট্রান্সপোর্ট, ট্রেড রিলেশনস ও শিল্পমন্ত্রী আজকে আমাদের অনেক কিছু মেনশন করেছেন সিঙ্গাপুরে কি কি করা যেতে পারে, সাম্ভব্যতা রয়েছে। সেজন্য আমরা একটি এমওসি সই করেছি। এমনিতেই আমরা সিঙ্গাপুর থেকে বিশাল পরিমাণ আমদানি করে থাকি। এ বিষয়ে ওদের বিশেষজ্ঞরা আছে তারা আমাদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে এফটিএ করা যায় কিনা সেজন্য একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটি করা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে সহযোগিতা সমঝোতা স্বাক্ষরের বিষয়ে আলোচনা হয়। পরবর্তীতে উভয় দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে কয়েক দফায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে সমঝোতা সইয়ের সিদ্ধান্ত চ‚ড়ান্ত করা হয়।
এতে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে রফতানি ও বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পাবে এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পাদনের লক্ষ্যে শিগগিরই আলোচনা শুরু করা সম্ভব হবে।
সমঝোতায় দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ১৬টি খাতে উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে; যার মধ্যে পাট ও পাটজাতপণ্য, বস্ত্র ও পোশাক, কৃষি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সেবা, হালকা প্রকৌশল, চামড়াও চামড়াজাত পণ্য, দক্ষতা উন্নয়ন, পরিবহন সরঞ্জাম, ডিজিটাল অর্থনীতি ও শিক্ষাসেবা রয়েছে। এছাড়া, এতে দুই দেশের মধ্যে প্রস্তাবিত এফটিএ সইয়ে আলোচনা পরিচালনার কৌশল নেওয়ার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হবার পর সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাণিজ্যিক ভাবে সম্ভাবনাময় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, পণ্য রফতানিতে শুল্ক, কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পাওয়া সহজ হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।