পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জিডিপি প্রবৃদ্ধি দুই অংকে নিতে বেসরকারি খাতের উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। গতিশীল প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিদ্যুতের সর্বোত্তম ব্যবহার নিয়ে গতকাল রোববার ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে এফবিসিসিআই আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদও ছিলেন এই সভায়।
সরকারের এই দুই নীতি নির্ধারক শিল্প-কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ পেতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে শিল্প কারখানা স্থাপনের পরামর্শ দেন।
সালমান এফ রহমান বলেন, জিডিপি, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি, মাথাপিছু আয়সহ অর্থনীতির সূচকগুলোতে আজকের যে উন্নতি তা ১০ বছর আগে কল্পনাও করা যেত না। এটা সম্ভব হয়েছে কেবল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্বের কারণে। প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন নতুন সরকারের এই মেয়াদের মধ্যেই যেন আমাদের প্রবৃদ্ধি দুই অংকে পৌঁছে যায়। বেসরকারি খাতকে প্রাধান্য দিয়ে এই লক্ষ্য অর্জন করতে চাচ্ছেন তিনি। সে কারণে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের ব্যবসার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে সরকার এগোচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরও সেই মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের সময় বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ এর ঘরে, সেই প্রবৃদ্ধি এই দশ বছরে বেড়ে সাত দশমিক ৮৬ শতাংশ হয়েছে। যত্রতত্র কারখানা স্থাপনর ফলে বিদ্যুৎ-জ্বালানি সরবরাহের অসুবিধার কথা তুলে ধরে পরিকল্পিতভাবে কারখানা স্থাপনের পরামর্শ দেন সালমান এফ রহমান। পাশাপাশি ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নে অন্যান্য ক্ষেত্রেও অচিরেই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেন তিনি।
সালমান রহমান বলেন, ইজি অব ডুয়িং বিজনেস সূচকে সংখ্যায় এগিয়ে আসার চেয়ে ব্যবসার পরিবেশের উন্নতির জন্য সহায়ক কিছু ক্রাইটেরিয়া নিয়ে কাজ করতে হবে। কিছু সমস্যা আছে যেগুলো আসলেও দ্রুত সমাধানের সুযোগ রয়েছে। সেই ব্যাপারগুলোর দিকে নজর দিতে চাচ্ছে সরকার। ব্যবসা পরিস্থিতির উন্নয়নে কর্মকর্তাদের সেবা ও সহযোগিতার মানসিকতা সৃষ্টি করা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেতে যত্রতত্র শিল্প-কারখানা স্থাপনের পরিবর্তে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে শিল্পস্থাপনের জন্য অগ্রাধিকার দেওয়ার পরমর্শ দেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, কোথাও সুলভ মূল্যে জমি পেলে সেখানে শিল্প স্থাপন করে ফেলা এবং পরে গ্যাস-বিদ্যুতের চাহিদা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সব স্থানে একই হারে একই সুবিধাসহ গ্যাস-বিদ্যুৎ দেওয়া যায় না। তবে নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে গ্যাস-বিদ্যুৎসহ যাবতীয় ইউটিলিটি সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে সরকার। পরিকল্পিত কারখানা করলে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ পাবেন। অন্যথায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ সম্ভব নাও হতে পারে।
তিনি বলেন, কল-কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে গ্যাসের যে সঙ্কট ছিল তা অনেকখানি কেটে গেছে। নিজস্ব ২৭০০ এমএমসিএফডি গ্যাসের সঙ্গে এখন আমদানি করা এলএনজি যুক্ত হয়েছে প্রায় ৫০০ এমএমসিএফডি। বিদ্যুতের উৎপদান ব্যয় ভোক্তাদের নাগালে রাখতে জ্বালানি বৈচিত্র্যের দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।