পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকরি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি সালমান এফ রহমান বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা এই বাংলাদেশ পেয়েছি। স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশে ছিলো ফরেন এক্সেস শূণ্য শতাংশ। যা ছিলো সব পাকিস্তানীদের দখলে। সেই সময় ৯৫ শতাংশ ইন্ডাস্ট্রির মালিক ছিলো পাকিস্তানীরা। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর সহযোগিতায় দেশেও জনগণ নানা ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে এবং দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয়করণ করে। যার ফলেও বর্তমানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র (এফবিসিসিআই) আয়োজনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গতকাল অনলাইনের মাধ্যমে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সালমান এফ রহমান এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন সাবেক মন্ত্রী, আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এম এ কাশেম, কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, মীর নাসির হোসেন, এ কে আজাদ এবং আব্দুল মাতলুব আহমেদ।
এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার। তা তিনি পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই উপলব্ধি করতেন। বঙ্গবন্ধু কখনোই পাকিস্তানে বিশ্বাস করেনি। বঙ্গবন্ধু শুধু রাজনৈতিক মুক্তি চেয়েছিলেন তা নয় তিনি অর্থনৈতিক মুক্তিতে বেশী গুরুত্ব দিয়েছেন। এটা যদি আমরা তার রাজনীতি ও অর্থনীতির দিকে তাকাই তাহলে স্পষ্টভাবে উপলদ্ধি করতে পারবো। বঙ্গবন্ধু যখন সুযোগ পেয়েছেন তখনই তিনি বাঙালি জাতিকে অর্থনৈতিকভাবে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছেন।
আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও সরকারের সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু না হলে আজও আমরা পাকিস্তানের দাসত্ব করতাম। বঙ্গবন্ধু নিজে কখনো ভাবতে পারতেন না স্বাধীনতার পরে তাকে কেউ হত্যা করতে পারে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনা ও মূল্যবোধকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া রাষ্ট্রের চারটি মূল স্তম্ভ গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষ ও জাতীয়তাবাদকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি সব সময় গণমানুষর জন্য স্বাধীনতা ও অর্থনেতিক মুক্তি চেয়েছেন।
শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর স্বার্থে সকল ধরনের উন্নয়নের বীজ বপন করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। এখন তার সুফল পাচ্ছে দেশের জনগণ। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আশির দশকের বাংলাদেশ বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থানে পৌঁছতে পারতো এবং এতদিনে উন্নত দেশের কাতারেও নাম লেখাতো।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।