বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শ্রীপুর (গাজীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : বঙ্গবন্ধুর নামে নাম মুজিবর রহমান। আদর্শের প্রাণ পুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার ডাকে তারুণ্যকে পুঁজি করে রণাঙ্গনের মাঠে জীবন বাজি রেখে ছুটে গিয়েছিলেন দেশ স্বাধীন করতে মুজিবর রহমান। যুদ্ধ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়েছেন অনেক দিন। সেই দিনের ছাত্র নেত্রী মতিয়া চৌধুরীর নির্দেশে উন্নত চিকিৎসায় বেঁচে যান মুক্তিযোদ্ধা মুজিবর রহমান। দেশে ফিরে স্বীকৃতিও পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধার। তবে আফসোস রয়ে গেছে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি না পাওয়ায়। এ আফসোস আরো বাড়িয়ে কান্নায় রূপ দেয় বিজয়ের এ মাসে।
গাজীপুরের শ্রীপুরে ৫ নং কাওরাইদ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে নির্জন নিরিবিলি বাপতা গ্রামের অলিগলি ঘুরে ফেরেন ৬৫ বছরের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মুজিবর রহমান। পুলিশে চাকরি করে প্রজাতন্ত্রের সেবা করেছেন প্রায় চার দশক। আর নীরবে স্বপ্ন দেখেন জীবনের শেষ মুহূর্তেও যদি মেলে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি।
মুক্তিযোদ্ধা মুজিবর রহমান জানান, ’৭১ সালের মার্চে চট্টগ্রামের পোর্ট থানায় পুলিশে কর্মরত ছিলেন তিনি। ২৬ মার্চ হঠাৎ করেই পাক সেনারা বেলা আড়াইটার দিকে পোর্ট থানা ঘেরাও করে। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই সবার অস্ত্র নিয়ে নিরস্ত্র করে ফেলে পাক সেনারা। পরে ওখান থেকে কৌশলে পালিয়ে গিয়ে ১ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি। ১ নম্বর সেক্টেরের সাব সেক্টর কমান্ডার মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি সম্মুখ যুদ্ধে যুদ্ধ করেন। এ সময় কোম্পানি কমান্ডার ছিলেন সেকেন্ড ল্যাফটেনেন্ট মাহবুবুর রহমান। তিনি আরো জানান, ৬ নভেম্বর ভারতের ত্রিপুরার কুর্মিটুলা অঞ্চলে নিরাপত্তা বাঙ্কারে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কালে পাকহানাদাররা আক্রমণ করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।