২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হতে পারে। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই স্বাস্থ্য সচেতন নন। এখানে প্রতিরোধের চেয়ে ওষুধ খাওয়ার দিকেই অনেকের মনোযোগ বেশি। আমাদের দেশে গর্ভাবস্থায় বেশিরভাগ মায়েদের নানারকম স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা দেখা যায়। এসব সমস্যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া। রক্তাল্পতা হলে রক্তে লোহিত রক্তকণিকার স্বল্পতা দেখা দেয়। লোহিত রক্তকণিকার ভেতরে হিমোগেøাবিন থাকে। এই হিমোগেøাবিন অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড পরিবহণ করে। তাই সুস্থ থাকার জন্য হিমোগেøাবিন খুব প্রয়োজন। এর অভাব মায়ের শরীরের পক্ষে যেমন খারাপ তেমনি গর্ভে থাকা শিশুটির জন্যও ক্ষতিকর। তাই এই ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে সবার।
গর্ভকালীন সময়ে কেন রক্তস্বল্পতা হয় তাও বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন। রক্তে মূলত দুটি অংশ থাকে। তরল অংশ প্লাজমা এবং রক্ত কণিকা। গর্ভকালীন সময়ে তরল অংশ বৃদ্ধি পায় কিন্তু রক্ত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি সেভাবে হয়না। আবার এসময় কণিকার চাহিদাও বেড়ে যায়। এর ফলে গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। আমদের দেশের অনেক মানুষ পুষ্টি সচেতন নয়। অনেকেই ভাবে পুষ্টিকর খাবার মানেই দামী খাবার। এই ধারণা ভুল। অনেক স্বল্পমূল্যের খাবারের মধ্যেও অনেক পুষ্টি আছে। আয়রনসমৃদ্ধ খাবার, আমিষ জাতীয় খাবার এবং ভিটামিন (ভিটামিন বি১২ এবং ফলিক অ্যাসিড ) রক্ত তৈরিতে সহায়তা করে। এসব উপাদানের অভাব হলে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। অনেকের জন্মগত রক্ত রোগ থাকে। গর্ভকালীন সময়ে এসব রোগ বেড়ে গিয়ে আরও বেশি রক্তাল্পতা তৈরি করে। এছাড়া গর্ভকালীন সময়ে রক্তক্ষরণ হলে রক্তাল্পতা দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন ইনফেকশনের কারনেও কিন্তু এসময় রক্ত কমে যেতে পারে।
গর্ভাবস্থায় রক্তাল্পতা হলে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এসবের মধ্যে আছেঃ
১। অনিয়মিত হৃদস্পন্দন বা বুক ধড়ফড়। ২। অবসাদ। ৩। বুকে ব্যথা। ৪। মাথা ব্যথা। ৫। শ্বাসপ্রশ্বাসে কষ্ট। ৬। মাথা ঘোরা। ৭। ফ্যাকাশে ত্বক।
তবে সবার ক্ষেত্রে একই লক্ষণ নাও থাকতে পারে। রক্তাল্পতা মারাত্মক না হলে এসব লক্ষণ নাও দেখা দিতে পারে।
গর্ভকালীন রক্তশূন্যতা থেকে মুক্ত থাকতে হলে সবার প্রথমে যা দরকার তা হচ্ছে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। সন্তান নেবার আগে থেকেই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। এর ফলে রক্তাল্পতার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকাতে খনিজসমৃদ্ধ খাবারসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদানযুক্ত খাদ্য রাখতেই হবে। বাচ্চা নেবার আগেই কৃমির ওষুধ খেতে হবে। গর্ভাবস্থায় খালি পায়ে মাটিতে হাঁটা থেকে বিরত থাকতে হবে। অনেক কৃমি পায়ের চামড়া ভেদ করে শরীরে প্রবেশ করে। গর্ভাবস্থায় কোন কারণে রক্তপাত হলে দ্রæত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অনেক চিকিৎসক এই সময়ে আয়রন, ফলিক এসিড দেন। এর ফলে রক্তাল্পতার সম্ভাবনা কমে যায় । এটি খুবই পরিচিত সমস্যা। তাই এই বিষয়ে সবার জানা উচিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।