Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

হল অব ফেমে কাদির, চন্দরপল, এডওয়ার্ডস

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমি-ফাইনালের আগের দিন হল অব ফেমে নতুন তিন জনকে যোগ করার ঘোষণা দিয়েছে আইসিসি। দারুণ সমৃদ্ধ ক্রিকেট ক্যারিয়ারের জন্য এই সম্মাননা পাচ্ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল, ইংল্যান্ড নারী দলের শার্লট এডওয়ার্ডস ও পাকিস্তানের প্রয়াত লেগস্পিনার আব্দুল কাদির। সা¤প্রতিক সময়ের রীতি মেনে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বুধবার পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের প্রথম সেমি-ফাইনাল শুরুর আগে বিশেষ আয়োজনের মাধ্যমে এই তিনজনকে সম্মানিত করবে আইসিসি। এই তিন জনসহ এখনও পর্যন্ত মোট ১০৯ জন সাবেক ক্রিকেটারকে হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত করল আইসিসি। নিজের সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অন্তত পাঁচ বছর পর এই স্বীকৃতির জন্য বিবেচিত হন ক্রিকেটাররা।
বাকি দু’জন জীবিত থাকলেও কিংবদন্তি লেগ স্পিনার কাদির মারা গেছেন ২০১৯ সালে, ৬৩ বছর বয়সে। সত্তর-আশির দশকে লেগ স্পিনকে নতুন করে জীবন দেওয়ার কৃতিত্ব দেওয়া হয় তাকে। প্রায় ১৩ বছরের ক্যারিয়ারে দুর্দান্ত অ্যাকশন ও বৈচিত্র্যময় লেগ স্পিনে ব্যাটসম্যানদের খাবি খাইয়েছেন কাদির। টেস্ট ক্রিকেটে ৬৭ ম্যাচে তার শিকার ২৩৬ উইকেট। ওয়ানডে সংস্করণে ১০৪ ম্যাচে পেয়েছেন ১৩২ উইকেট। ১৯৮৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৬ রানে ৯ উইকেট নেন তিনি। যা এখনও পাকিস্তানের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। অবসরের পর আরেক কিংবদন্তি লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্নের মেন্টর হিসেবে কাজ করেন তিনি। এছাড়া স্বদেশি মুশতাক আহমেদ, দানিশ কানেরিয়া ও শহিদ আফ্রিদিরাও তার কাছে লেগ স্পিনের তালিম নিয়েছেন।
১৯৯৪ সালে অভিষেক হয় চন্দরপলের। চোখের নিচে পতাকার ছাপ ও ব্যতিক্রমী ব্যাটিং স্ট্যান্স নিয়ে প্রায় ২১ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেন তিনি। ১৬৪ টেস্টে ৩০ সেঞ্চুরিতে ১১ হাজার ৮৬৭ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে এ সংস্করণে তার চেয়ে বেশি রান রয়েছে শুধু ব্রায়ান লারার। ওয়ানডে ক্রিকেটে ২৬৮ ম্যাচ খেলে ৪১.৬০ গড়ে ৮ হাজার ৭৭৮ রান করেন চন্দরপল। এ সংস্করণে তার সেঞ্চুরি ১১টি, ফিফটি ৫৯টি।
নারী ক্রিকেট ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা খেলোয়াড়দের একজন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক এডওয়ার্ডস। ১৯৯৬ সালে ¯্রফে ১৬ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাখেন তিনি। পরের বছর বিশ্বকাপে রেকর্ড ১৭৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে জানান দেন নিজের সামর্থ্যরে। প্রায় ২০ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ২৩ টেস্টে ৪ সেঞ্চুরিতে ১ হাজার ৬৭৬ রান করেন তিনি। ওয়ানডে সংস্করণে ১৯১ ম্যাচে ৯ সেঞ্চুরিতে ৫ হাজার ৯৯২ ও ৯৫ টি-টোয়েন্টিতে ২ হাজার ৬০৫ রান করেন এডওয়ার্ডস। ২০১৬ সালে অবসরের সময় ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের নারী ক্রিকেটে তিনি সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। ২০০৬ সালে জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব নিয়ে দেশে ও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে একাধিক অ্যাশেজ সিরিজ জেতেন তিনি। তার নেতৃত্বেই ২০০৯ সালের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতে ইংল্যান্ড নারী দল।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চন্দরপল
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ