Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কোচিং বাণিজ্য

| প্রকাশের সময় : ৯ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

বলতে দ্বিধা নেই যে কোচিং প্রথা শিক্ষাব্যবস্থায় এক দুষ্ট ব্যাধি। কী শহর, কী গ্রাম; নগর কী বন্দর- সবখানেই চলছে রমরমা কোচিং বাণিজ্য। সরকারি নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্যেই চলছে কোচিং সেন্টারগুলো। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লাসশেষে কিংবা ক্লাসের পূর্বে শিক্ষার্থীদের বিশেষ ক্লাসের নামে কোচিং করানো হয়। যতদূর মনে পড়ে, কয়েক দশক আগে যখন নোটবই পড়া নিষিদ্ধ করা হয়, তখন ওই ব্যবস্থা গ্রহণের পেছনে যুক্তি ছিল একটাই, সংক্ষিপ্ত পথে অর্থাৎ নোট বইয়ের সাহায্যে পরীক্ষায় পাস চলে, কিন্তু জ্ঞানার্জন হয় না। অথচ, এখন চলছে নোট বইয়ের চেয়ে দুষ্ট কোচিং। শিক্ষকদের একটা বড়ো অংশ এই শিক্ষা-বাণিজ্যের দিকে এতটাই মন দিচ্ছেন যে, তাদের দ্রুত বিত্ত আহরণের মানসিকতায় ক্লাসে শিক্ষাদানে তাদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। এমনও অভিযোগ শোনা যায়, কোচিং না করলে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়া হয়। অথবা ফেল করিয়ে দেয়ার ভয় দেখানো হয়। এর ফলে শত কষ্ট হলেও শিক্ষার্থীরা কোচিং করতে বাধ্য হয়। আশা করি, কতৃপক্ষ এই কোচিং নামের এই শিক্ষা-বাণিজ্য বন্ধে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে।

মাজহারুল ইসলাম শামীম
শিক্ষার্থী, ফেনী সরকারি কলেজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন