মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মধ্যবর্তী নির্বাচন। নির্বাচনে রিপাবলিকানরা ব্যাপক সমর্থন পাওয়ার আশা করছেন। অন্যদিকে কংগ্রেসে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে থাকা ডেমোক্র্যাটরা নিজেদের অবস্থান ধরে রাখা নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন মনে হচ্ছে। অর্থনৈতিক দুরবস্থা, অপরাধ, প্রেসিডেন্টের কারিশমা, গর্ভপাত আইনের মতো বিষয়াদি এ নির্বাচনে ভূমিকা রাখতে পারে।
আজকের নির্বাচনে রিপাবলিকানদের পক্ষে সমর্থন বাড়বে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু সেটার বিস্তৃতি কতটা হবে তা এখনই বলা মুশকিল। মুদ্রাস্ফীতি এবং রাজনৈতিক বিভাজন বাড়ায় ভোটারদের মধ্যে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশা কাজ করছে। আর ইতিহাস বলছে, ভোটাররা সাধারণত ক্ষমতাসীনদের ওপরেই তাদের হতাশার দায় চাপায়। ডেমোক্র্যাটরা আশা করেছিলেন যে, গর্ভপাতের অধিকার বাতিল সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের রায় মধ্যবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের জনপ্রিয়তা হারানোর ঐতিহাসিক ধারায় বিঘ্ন ঘটাবে বা ক্ষতি কমাবে, কিন্তু নির্বাচনের দিন এগিয়ে আসার প্রেক্ষিতে নেতাদের মধ্যে এ আশা ততটাই কমেছে বলে মনে হচ্ছে। রিপাবলিকান দলে গর্ভপাতবিরোধী যারা আছেন তাদের ভোট কমতে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত হতে পারে। এজন্য দলটির আরো ৫টি আসন প্রয়োজন। হয়ত এর চেয়ে বেশি আসনও পেয়ে যেতে পারে দলটি। আর এ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে ডেমোক্র্যাটদের আরো কিছু এলাকায় বেশ অর্থ বিনিয়োগ করেছেন রিপাবলিকানরা।
মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে ডেমোক্র্যাটদের অবস্থা আরো নাজুক। রিপাবলিকানরা আরেকটি আসন পেলেই উচ্চকক্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
২০২০ সালের নির্বাচনে ল্যাটিনাদের সমর্থন খুব একটা পায়নি ডেমোক্র্যাটরা। কিন্তু এবার সেই পরিস্থিতি বদলাবে এমন আশাও করা যাচ্ছে না। কারণ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মেক্সিকো-মার্কিন সীমান্ত সমস্যার তেমন কোনো সমাধান দিতে পারেননি। অন্যদিকে এ গোষ্ঠীর মধ্যে রিপাবলিকানদের প্রতি সমর্থন বেড়ে চলেছে বলেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো রিপাবলিকান পার্টিতে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন। যদিও তিনি মধ্যবর্তী নির্বাচনের ব্যালটে নেই, তার সমর্থন পাওয়া বেশ কয়েকজন প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন। এসব প্রার্থী যদি ভালো না করেন তাহলে ২০২৪ সালে আবারও মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের লড়াই করার সম্ভাবনা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
মার্কিন এ মধ্যবর্তী নির্বাচনে কার্যত ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলগুলোর অবস্থান কী হতে যাচ্ছে তা ঠিক করে দেবে। রিপাবলিকানরা বড় জয় পেলে ট্রাম্পের আবারো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের পথ তৈরি হতে পারে। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটদের দুর্বল ফলাফল বাইডেনের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে টিকে থাকার লড়াই কঠিন করে দেবে। সূত্র : ডি ডব্লিউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।