মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী সপ্তাহে তার সর্বোচ্চ পদমর্যাদার মুসলমান জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে। তিনি হচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প-সমর্থিত একজন রিপাবলিকান যিনি ২০২০ সালের নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
মোহাম্মদ ওজ, একজন টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব এবং তুর্কি বংশোদ্ভূত অবসরপ্রাপ্ত সার্জন, পেনসিলভানিয়ায় ডেমোক্র্যাটিক লেফটেন্যান্ট গভর্নর জন ফেটারম্যানের বিরুদ্ধে সিনেটর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যা পরবর্তী দুই বছরের জন্য মার্কিন সিনেটের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে। যদিও অনেক মুসলিম আমেরিকান ওজ-এর প্রার্থীতাকে স্বাগত জানিয়েছে, তবে তার প্রার্থীতা মুসলিম-আমেরিকান সম্প্রদায়ের মধ্যে আগের মতো উদ্দীপনা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। ওজ সিনেটে প্রথম মুসলিম প্রধান দলের মনোনীত প্রার্থী। ‘এখানে আমাদের জন্য অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে নীতিগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পরিচয় মহান এবং বিস্ময়কর, কিন্তু একজন প্রার্থী যদি আমাদের মূল্যবোধ এবং নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয়, তাহলে আমাদের পক্ষে এমন কাউকে সমর্থন করার কোনো মানে হয় না,’ বলেছেন পেনসিলভানিয়ার অ্যালেনটাউনের ফিলিস্তিনি-আমেরিকান বাসিন্দা নাগি লাতেফা, যিনি সেখানকার মুসলিমদের নাগরিক সম্পৃক্ততা প্রচার করেন।
ওজ নিজেকে একজন ‘ধর্মনিরপেক্ষ মুসলিম’ হিসাবে বর্ণনা করেন। উদাহরণস্বরূপ, তিনি ফিলিস্তিনি অধিকারের পক্ষে ওকালতি এবং ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই সহ তার প্রচারাভিযানে মুসলিম আমেরিকানদের বিশেষভাবে আবেদন করার মতো বিষয়গুলোকে কেন্দ্রীভূত করেননি, যেমনটি করেছেন মুসলিম কংগ্রেস সদস্য রাশিদা তালিব এবং ইলহান ওমর। অধিকন্তু, ট্রাম্পের সাথে ওজের সম্পর্ক এবং ‘শরিয়া আইন’ নিয়ে অতীতের অবমাননাকর মন্তব্যগুলো তাকে মুসলিম-আমেরিকান অ্যাক্টিভিস্টদের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
একটি রক্ষণশীল মিডিয়া নেটওয়ার্ক রিয়েল আমেরিকা’স ভয়েসে দেয়া সাক্ষাতকারে ইসলাম মার্কিন সংবিধানের সাথে বেমানান কিনা জানতে চাইলে ওজ বলেন, ‘আমরা আমেরিকায় শরিয়া আইন চাই না। আমি একজন ধর্মনিরপেক্ষ মুসলিম।’ তিনি অব্যাহত রেখেছিলেন, ‘আমি চাই না যে এই ধর্মান্ধদের কেউ আমেরিকান সমাজে ভূমিকা রাখুক এবং আমি তাদের বাধা দেয়ার জন্য আক্রমণাত্মকভাবে কাজ করব।’
কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশনসের ফিলাডেলফিয়ার শাখার নির্বাহী পরিচালক আহমেত টেকেলিওগ্লু বলেছেন, ওজের মন্তব্যের মাধ্যমে শরিয়ার ব্যাপারে ভুল ধারণা তৈরি হচ্ছে। ফিলিস্তিনি-আমেরিকান কর্মী লাতেফা বলেন, তিনি মোহাম্মদ ওজকে মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে আলোচনায় বসানোর জন্য কয়েক মাস ধরে চেষ্টা করছেন। যাতে মুসলিম সম্প্রদায় তাকে চিনতে পারে এবং তিনি নিজেও বুঝতে পারেন তিনি কোন অবস্থানে রয়েছেন। কিন্তু তিনি ওজকে পেতে, তার সাথে কথা বলতে ব্যর্থ হয়েছেন। উল্লেখ্য, কংগ্রেসে নির্বাচিত চার মুসলমানই বাইডেনের ডেমোক্র্যাট দলের সদস্য। সূত্র : আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।