২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
দাঁতের ব্যথাকে আমরা অনেকে আমল দেই না। প্রয়োজন মতো দাঁতের যতœ নেই না, ডেন্টিস্টের কাছে যাই না নিয়মিত। এরপর যখন দাঁতের ব্যথায় প্রাণ ওষ্ঠাগত হয় তখনই কেবল ডেন্টিস্টের কাছে দৌড়াই। কিন্তু দাঁত ব্যথায় রয়েছে বড়ই বাজে একটা অভ্যাস। রাতের বেলায় যখন সবাই ঘুমিয়ে পড়েন, ডেন্টিস্ট যখন চেম্বার বন্ধ করে বাড়ি চলে যান তখনই দাঁত ব্যথা চরম আকৃতি ধারণ করে। তখন সকাল পর্যন্ত ব্যথা সহ্য করা ছাড়া উপায় থাকে না। অনেকে পেইনকিলার খেয়ে বসে থাকেন, যদিও পেইনকিলার শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কিন্তু জানেন কি, আপনার রান্নাঘরে থাকা কিছু উপাদান দিয়ে আপনি তৈরি করে নিতে পারেন একদম প্রাকৃতিক এবং কার্যকরী কিছু পেইনকিলার। দাঁতে ব্যথা হলে অবশ্যই ডেন্টিস্ট দেখাতে হবে। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই ঘরোয়া ওষুধগুলো কাজ করে জাদুর মতো।
স্ট লবণ পানি- একেবারে সাধারণ এবং প্রচলিত এই প্রক্রিয়া আসলেই কার্যকর। এক গøাস গরম পানিতে বেশি করে লবণ গুলে কুলকুচি করুন যতক্ষণ সম্ভব। দাঁতের ব্যথার কারণ হিসাবে যদি কোনও জীবাণু থেকে থাকে তবে তা দূর হবে। এছাড়াও মাড়িতে রক্ত চলাচল ভালো করে দেয়। সাময়িক ভাবে দাঁত ব্যথাও কমে আসে। তবে এই লবণ পানি খেয়ে ফেলবেন না-যেন। কুলকুচি করে ফেলে দেবেন।
স্ট লবঙ্গ- যে দাঁতটা ব্যথা করছে, তার ওপরে বা পাশে একটা লবঙ্গ রেখে দিন। মাড়ি আর দাঁতের মাঝে বা দুই চোয়ালের মাঝে এই লবঙ্গ চেপে রাখতে পারেন যথক্ষণ না ব্যথা চলে যায়। লবঙ্গের তেল ব্যবহার করতে পারেন তবে দুই-এক ফোঁটার বেশি নয়। লবঙ্গ গুঁড়োর সাথে পানি বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করেও লাগাতে পারেন।
স্ট আদা- এক টুকরো আদা কেটে নিন এবং যে দাঁতে ব্যথা করছে সে দাঁত দিয়ে চিবোতে থাকুন যদি চিবানোর সময় বেশি ব্যথা লাগে তাহলে অন্য পাশের দাঁত দিয়ে চিবিয়ে যে রস এবং আদার পেস্ট তৈরি হবে সেটাও ওই আক্রান্ত দাঁতের কাছে নিয়ে যান। জিহŸা দিয়ে একটু চেপে রাখুন দাঁতের কাছে। কিছুক্ষণের মাঝেই ব্যথা চলে যাবে।
রসুন-এক কোয়া রসুন থেঁতো করে নিয়ে দাঁতের ওপর লাগিয়ে রাখুন। রসুনের সাথে একটু লবণও মিশিয়ে লাগাতে পারেন।
পেঁয়াজ-টাটকা এবং রসালো এক টুকরো পেঁয়াজ কেটে নিয়ে সেটা আক্রান্ত দাঁতের ওপর চেপে রাখুন। পেঁয়াজের রসটা উপকারে আসবে।
মরিচ-হ্যাঁ, মরিচ। শুকনো মরিচের গুঁড়ো দিয়ে পেস্ট তৈরি করে দাঁতের ওপরে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে মরিচের ভেতরে থাকা উপাদান আপনার দাঁতের ওই ব্যথাকে অবশ করে দেবে। গোলমরিচের গুঁড়োও ব্যবহার করতে পারেন।
বেকিং সোডা- একটা কটন বাড একটু পানিতে ভিজিয়ে নিন। এর মাথায় অনেকটা বেকিং সোডা লাগিয়ে নিয়ে আক্রান্ত দাঁতের ওপরে প্রয়োগ করুন। আরেক ভাবেও বেকিং সোডা -এক গøাস গরম পানিতে গুলে সেটা দিয়ে কুলকুচি করে ফেলুন। মনে রাখবেন, আপনার দাঁত ব্যথা করছে তার মানে নিশ্চয়ই দাঁতের ভেতরে কোনও সমস্যা আছে এবং অবশ্যই ডেন্টিস্টের সাহায্য ছাড়া সে সমস্যার হাত থেকে মুক্ত হওয়া যাবে না। ঘরোয়া এই প্রতিকারগুলো আপনাকে কিছুটা সময়ের জন্য ব্যথা থেকে মুক্তি দিচ্ছে বলেই ডাক্তার দেখানোর কথাটা ভুলে যাবেন না যেন। বিশেষ করে যদি মাড়ি ফুলে যায় তবে বুঝতে হবে ইনফেকশন হয়ে গেছে এবং বিলম্ব না-করে ডেন্টিস্টের সাথে দেখা করুন।
সাংবাদিক-কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।