Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী শিক্ষা সাংস্কৃতি বিনষ্টের ষড়যন্ত্র তৌহিদী জনতা মেনে নিবে না -আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ অক্টোবর, ২০২২, ৬:৫৮ পিএম

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান আমীরে শরীয়ত আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন ৯২ শতাংশ মুসলমানদের বাংলাদেশে ইসলামী শিক্ষা সাংস্কৃতি বিনষ্ট করতে ভিনদেশী আগ্রাসন চলছে। জাতির মেরুদন্ড শিক্ষা ব্যবস্থায় এ দেশের মানুষের ঈমান-আক্বিদা, কৃষ্টি-কালচার ইতিহাস-ঐতিহ্য ও ধর্মীয় চেতনা জড়িত। জাতীয় শিক্ষা কমিশনের কতিপয় নাস্তিক্যবাদী দালালচক্র শিক্ষা- সাংস্কৃতিতে অপসাংস্কৃতি ঢুকিয়ে সুকৌশলে মুসলিম শিক্ষার্থীদেরকে নাস্তিক বানানোর পাঁয়তারা করছে। ইসলাম বিদ্বেষী কোন কারিকুলাম এদেশে চলতে দেয়া হবে না। দেশের তৌহিদী জনতা জীবন দিয়ে হলেও তা রুখে দিবে। অবিলম্বে বোর্ড পরীক্ষায় ইসলামি শিক্ষা বাধ্যতামূলক হবে।
আজ রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর মাদরাসায় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দলের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা সানাউল্লাহ হাফেজ্জী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, মাওলানা সাইফুল ইসলাম জামালী।
মাওলানা আতাউল্লাহ আরো বলেন, সরকার অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত এক ও অভিন্ন একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর নামে পাঠ্য পুস্তকে হিন্দুয়ানী সাংস্কৃতি সংযোজন ঘটিয়ে ইসলামী শিক্ষাকে ধ্বংসের নীল নকশা তৈরি করেছে । তারই অংশ হিসেবে সরকার এসএসসি’র বোর্ড পরীক্ষা থেকে ইসলামী শিক্ষা বাদ দিয়ে এ দেশের মুসলমানদের অন্তরে মারাত্মক ভাবে আঘাত দিয়েছে। তিনি বলেন, স্বাধীনভাবে শিক্ষা সংস্কৃতি ও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার জন্যই ১৯৪৭ সনে এই ভূখন্ডটি আলাদ হয়েছিল। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও আমরা পরাধীন। এদেশের ৯০ ভাগ মুসলমানের জন্য এটা অত্যন্ত হতাশাজনক। অথচ বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগেই ওয়াদা করে ছিল ক্ষমতায় আসলে ইসলাম বিরোধী কোন আইন করবে না। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর একের পর এক ইসলামও আলেম ওলামাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। অবিলম্বে পাঠ্য পুস্তক থেকে ইসলাম বিদ্বেষী লেখা বাদ দিয়ে স্কুল,কলেজ ও মাদরাসা শিক্ষার সর্বস্তরে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান তিনি ।
ইসলামি ঐক্যজোটের সমর্থন : দেশ ও জাতির কল্যাণে জমিয়াতুল মোদারেছীন ঘোষিত ১৩ দফা দাবি নামার প্রতি অকুন্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন ইসলামি ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাওলানা আব্দুর রকীব অ্যাডভোকেট এবং মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা আব্দুর করিম খান। আজ রোববার এক বিবৃতিতে তারা এসব ন্যায্য দফা মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। নেতৃদ্বয় জমিয়তুল মোদারেছীন ঘোষিত ১৪ নভেম্বর সারা দেশে স্থানীয় প্রেস ক্লাব এর সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি সফল করার জন্যে মুসলিম জনতার প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, মাদরাসার শিক্ষায় নির্ধারিত পুস্তকে কোনো প্রকার ইসলাম বিদ্বেষী লেখা এ দেশের মুসলমান সহ্য করবে না। এই সব ইসলাম বিরোধী চক্রান্ত দেশের ৯২ ভাগ মুসলমান কোনো অবস্থায়ই মেনে নিবে না। মাদরাসার শিক্ষা নিয়ে সর্ব প্রকার ষড়যন্ত্র বন্ধ করার জন্যে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন। এ দেশের মুসলমানরা জীবন থাকতে যুগ যুগ ধরে প্রতিষ্ঠিত ইসলামি মাদরাসা সমূহ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের কোনো চক্রান্ত সফল হতে দেবে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ