Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিতর্কিত সিলেবাসে শিক্ষার্থীদের বিপথগামী করার চক্রান্ত হচ্ছে

আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

কোরআন-হাদীস বিরোধী বিতর্কিত সিলেবাসে মাদরাসার নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার সংবাদে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান আমীরে শরীয়ত আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী। মাদরাসার ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বিভিন্ন বই এ বিতর্কিত বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পাঠ্যপুস্তকে ডারউইনের বিবর্তনবাদ ও হিন্দুত্ববাদ সংযোজন করে হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা হয়েছে। বাংলাদেশের কৃষ্টি কালচার বিরোধী বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিপাথগামী করার চক্রান্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে।

৯২ ভাগ মুসলমানদের বাংলাদেশের ইসলামপ্রিয় তাওহিদী জনতা এ জঘন্য সিদ্ধান্ত কিছুতেই মেনে নিবেনা। মনে হয় সরকারের সকল অর্জনকে বিনষ্ট করতেই একটি কুচক্রীমহল ব্রাহ্মন্যবাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নে আদা পানি খেয়ে মাঠে নেমেছে। বিগত কয়েক মাস যাবত বিতর্কিত এ সিলেবলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইসলামি সংগঠন সরকারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান ও সভা-সমাবেশ করে প্রতিবাদ জানানোর পরও জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কোন কর্ণপাত করেনি। এসসিটিবির সূত্রে জানা গেছে আগামীকাল থেকে ( ২০২৩- ২০২৭ ) নাগাদ প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিতর্কিত পাঠ্যপুস্তকে শিক্ষাক্রম চালুর সময় সীমা নির্ধারন করা হয়েছে।

আপত্তিকর ও উলঙ্গ ছবিযুক্ত কোরআন-হাদীস বিরোধী, বিতর্কিত শিক্ষা সিলেবাস বাতিল করে সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলমানদের শিক্ষা সংস্কৃতির সাথে বর্তমান চাহিদাকে মিলিয়ে শিক্ষা কমিশনে আলেমদের সমন্বয়ে যুগোপযোগী সিলেবাস তৈরি করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী। গতকাল রোববার বাদ জোহর দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দলের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজি, নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, যুগ্মসচিব মাওলানা সানাউল্লাহ হাফেজ্জী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সুলতান মহিউদ্দিন, প্রচার সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, দফতর সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম জামালী।

তিনি বলেন, বিজ্ঞান বইয়ের ১১ জন উলঙ্গ নারী পুরুষের ছবি, হিন্দুদের দেব-দেবীর নগ্ন ও অর্ধনগ্ন ছবি, হিন্দু মহিলার শাঁখা পরা ছবি রয়েছে। এছাড়াও দূর্গাপূজা, গীতাঞ্জলিসহ মূর্তিপূজার সংস্কৃতি চর্চা শিক্ষা দেয়া হয়েছে। নবী ও সাহাবীদের নাম বাদ দিয়ে মন্দিরা, প্রিয়াংকা, মিসেল, ডেবিট, প্লাবন, চাকমার মতো অমুসলিম নাম সংযোজন করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ