Inqilab Logo

শনিবার, ০৮ জুন ২০২৪, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চাই

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ৩০ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অনগ্রসর অঞ্চল লালমনিরহাটের বুড়িমারী, আঙ্গরপোতা, দহগ্রাম, পাটগ্রাম, বাউরা, বড়খাতা, হাতিবান্ধা, ভোটমারী, কালীগঞ্জ, কাকিনাসহ আশেপাশের অঞ্চলগুলোকে ঢাকার সাথে সরাসরি রেল যোগাযোগের আওতায় নিয়ে আসার উদ্দেশ্যে এবং রেলকে অধুনিকভাবে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে, আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধির প্রয়োজনে ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী ‘তিন বিঘা করিডোর এক্সপ্রেস’ নামে একটি আন্তঃনগর ট্রেন চালুর কথা বলেছিলেন। ট্রেনটি বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে ঢাকা রুটে চলাচলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এর পর প্রায় ১ যুগ হতে চললেও চালু হয়নি ‘তিন বিঘা করিডোর এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি। সেজন্য কাক্সিক্ষত রেলসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ওই অঞ্চলের মানুষ। অন্যদিকে, তিনবিঘা করিডোরে ২৪ ঘণ্টার জন্য উম্মুক্ত করা হলেও যানবাহন ব্যবহারের ব্যাপারে আমরা এখনো পূর্ণ স্বাধীনতা পাইনি। বিএসএফের বাধার কারণে দহগ্রাম থেকে কোনো যাত্রীবাহী বাস চলাচল করতে পারে না। দহগ্রাম, আঙ্গরপোতার লোকজনকে প্রায় ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে অটোরিকশা অথবা ভ্যানে করে পাটগ্রাম আসতে হয়। ঢাকা যেতে হলে বাসই একমাত্র ভরসা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, দিনের বেলায় বুড়িমারী টু ঢাকা বা ঢাকা টু বুড়িমারী কোনো বাস চলাচল করে না। তাছাড়া, সড়কপথ যেন আরেক আতঙ্কের নাম। জীবনের কোনো নিরাপত্তা নাই, বাসে উঠলেই একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকতে হয়। ফলে লোকজন জরুরি কাজ বা চিকিৎসার জন্য রাজধানীতে সহজে আসা-যাওয়া করতে পারে না। একটি আন্তঃনগর ট্রেন প্রতিদিন সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে লালমনিরহাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। তবে দহগ্রাম থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সকাল ১০টা ৪০মিনিটে লালমনিরহাট এক্সপ্রেস ট্রেনটি ধরা অসম্ভব। তিন বিঘা করিডোর এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু হলে খুব তাড়াতাড়ি এবং স্বল্প খরচে দহগ্রাম, আঙ্গরপোতা, বুড়িমারী, পাটগ্রাম, বাউরা, বড়খাতা, হাতিবান্ধা, কালীগঞ্জ,কাকিনাসহ আশেপাশের লোকজন সহজে যাতায়াত করতে পারবে। এছাড়া আধুনিক বাহনের সাথে যুক্ত হবে অঞ্চলগুলো। ট্রেনটি চালু হলে এর মাধ্যমে তিনবিঘা করিডোরের যে ইতিহাস আর এটা এই অঞ্চলের মানুষের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটাও উপলব্ধি করতে পারবে। ট্রেনটি চালুর ব্যাপারে বিভিন্ন সমাজসেবী সংগঠন আন্দোলন ও দাবি জানিয়ে আসলেও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। তাই, ট্রেনটি খুব তাড়াতাড়ি চালু করা হোক, এজন্য প্রধানমন্ত্রী ও রেল মন্ত্রণালয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

মো. রবিউল ইসলাম
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন