Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গণশুনানী উপলক্ষে সমাবেশে কাজী রিয়াজুল সাঁওতালদের আইন সম্মতভাবে উচ্ছেদ করা হয়নি

| প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা : জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী সাঁওতালসহ সকল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির মানুষের সকল ক্ষেত্রে সমান অধিকার রয়েছে। তাদেরকে আইন সম্মতভাবে উচ্ছেদ করা হয়নি। বঙ্গবন্ধুর মতোই তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সব সময়ই নিবেদিত। তাই এ সময়ে সংখ্যালঘু বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির মানুষের উপরে কোন প্রকার অন্যায় হয়ে থাকলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে। গতকাল সোমবার দুপুরে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মাদারপুর ও জয়পুরপাড়া সাঁওতাল পল্লী পরিদর্শনকালে মাদারপুর গীর্জা প্রাঙ্গণে আয়োজিত গণশুনানী উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি একথা বলেন। সমাবেশে আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাশের আহŸায়ক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি সাঁওতালদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে ৪০জন এমপি আপনাদের অধিকার নিয়ে কথা বলার জন্য সবসময়ই প্রস্তুত আছেন। আদিবাসীদের নিজস্ব সত্তা-সংস্কৃতি ও অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকা নিশ্চিত করতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। এর আগে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাশের নেতৃবৃন্দ ও ইউএনডিপির একটি প্রতিনিধিদল গত মাসের ৬ তারিখে পার্শ্ববর্তী রংপুর চিনিকল বাণিজ্যিক খামারের সংঘটিত সংঘর্ষের ঘটনাস্থল ও ক্ষতিগ্রস্থ সাঁওতাল পরিবারগুলোর খোঁজখবর নেন। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক ও ককাশের আহবায়ক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি’র নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধিদল সোমবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে সাঁওতাল পল্লীতে উপস্থিত হয়ে বাড়ী বাড়ী গিয়ে তারা সাঁওতালদের সাথে কথা বলেন, তাদের দু:খ দুর্দশার বর্ণনা শোনেন। এরপর মাদারপুর গীর্জার সামনে গণশুনানীর জন্য স্থাপিত মঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় সংসদের আদিবাসী বিষয়ক ককাশের সদস্য শেরপুরের আওয়ামীলীগের এমপি একেএম ফজলুল হক, বরিশালের ওয়ার্কাস পার্টি’র এমপি টিপু সুলতান ও ককাশের টেকনোক্রাট সদস্য ও সমন্বয়কারী অধ্যাপক মেজবাহ কামাল। পরে স্থানীয় গীর্জায় রুদ্ধদ্বার কক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত ৭ জন সাঁওতাল নারী-পুরুষের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করে ওই কমিটি। এর আগে সকাল ১০টার দিকে সাঁওতালরা তীরধনুক ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাঁওতাল পল্লীতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। তারা মাদারপুর আদিবাসী কমিউনিটি সেন্টারের সামন থেকে মিছিল নিয়ে মাদারপুর গীর্জার সামনে গিয়ে শেষ করেন। গণশুনানী শেষে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সাংবাদিকদের জানান, সাক্ষ্যগ্রহণে সাঁওতালদের ওপর হামলা, নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট অন্যদের স্বাক্ষ্য নেয়ার পর যত দ্রæত সম্ভব এর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির সুপারিশ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ