পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ায় স্থলযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক। চলমান গৃহযুদ্ধ বন্ধ ও আইএস বিরোধী অভিযান জোরদার করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক জোটের সদস্যদের প্রতি এ আহ্বান জানানো হয়েছে। আঙ্কারার এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা চাই স্থল আক্রমণ এবং আমরা অংশগ্রহণ করবো। খবরে বলা হয়, তুরস্ক ইতোমধ্যেই সিরিয়া সীমান্তের উত্তরাঞ্চলে বিমান ঘাঁটিতে জঙ্গি বিমান ও সেনা সদস্য মোতায়েন করেছে। তবে স্থল হামলা ব্যতিরেকে গৃহযুদ্ধ থামানো সম্ভব নয় বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। গত সোমবার সউদি আরব বলেছে, বাশারকে সরাতে হলে অবশ্যই সেখানে স্থলসেনা পাঠাতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
এদিকে অপর এক খবরে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ সহায়তাকারী দল সিরিয়ার অভ্যন্তরে অবরুদ্ধ এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে। সিরিয়ার সরকারি বাহিনী কর্তৃক অবরুদ্ধ সাতটি এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে অনুমতি দিয়েছে সরকার। বিশ্ব সংস্থাটির মুখপাত্র ফারহান হক জানিয়েছেন, ত্রাণবহর নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। যেসব এলাকায় ত্রাণ সহায়তা নিয়ে যাওয়া হবে সেগুলোর মধ্যে মাদায়াও রয়েছে। এই শহরটির অধিকাংশ মানুষ অনাহারে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। অপরদিকে, রুশ বিমান হামলার ছত্রছায়ায় ও লেবাননের হিজবুল্লাহ গেরিলাদের সমর্থন নিয়ে সিরিয়ার সেনাবাহিনী তুর্কি সীমান্তের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে গেছে। তুর্কি সীমান্ত থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরের আজাজ শহরটিই এখন বিদ্রোহীদের শেষ শক্তিকেন্দ্র হিসেবে রয়ে গেছে। আজাজ দখল করা থেকে ওয়াইপিজির যোদ্ধাদের থামানোর জন্য গত সোমবারও গোষ্ঠীটির অবস্থান লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করেছে তুর্কি বাহিনী।
বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো গেল সপ্তায় সিরিয়ায় অস্ত্রবিরতি এবং দেশটিতে বৃহত্তর পরিসরে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। দামেস্কে গত মঙ্গলবার বৈঠক শেষে সিরিয়ায় নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত স্টাফান দে মিস্তঁরা বলেন, প্রয়োজনীয় সবকিছু নিয়ে ঢোকার অনুমতি দেয়া সিরীয় সরকারের দায়িত্ব। জাতিসংঘ বলছে, সিরিয়ায় সরকারি বাহিনী যে সাতটি এলাকা ঘেরাও করে রেখেছে সেখানে প্রায় পাঁচলাখ মানুষ বাস করছেন। ফারহান হক বলেন, আসছে দিনগুলোতে মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলো এবং এর অংশীদারেরা ত্রাণবহর নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব পৌঁছানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। রুশ বিমান হামলার সহায়তায় সিরিয়ার বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সরকারি বাহিনী দেশটিতে হাতছাড়া হওয়া বিভিন্ন অঞ্চলে ক্রমশ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করছে। তবে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ব্যাপক হারে বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়া নিয়ে উদ্বেগও দেখা দিয়েছে। গত সোমবার বিদ্রোহী অধিকৃত দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় একটি শহরে হাসপাতাল ও স্কুলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এতে প্রায় ৫০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থাগুলো।
এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ। তুর্কি প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলু দাবি করেছেন, রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ভবনগুলোতে আঘাত হেনে শিশুসহ অনেক বেসামরিককে হত্যা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুসান রাইসও এ হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন। কিন্তু রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভেরোনিকা সকভোর্তসোভা বলেছেন, ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অবকাঠামো লক্ষ্য করে রুশ বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। কিন্তু ইদলিবের বেসামরিক এলাকায় রুশ বিমানগুলো বোমাবর্ষণ করেছে এ ধরনের অভিযোগ বিশ্বাস করার কোনো কারণ তিনি দেখছেন না। রাশিয়ায় নিযুক্ত সিরীয় রাষ্ট্রদূত এ কর্মের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানগুলো দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন। রয়টার্স, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।