যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
গোসল করতে গিয়ে গলা ছেড়ে গান কে না গেয়েছেন? মনে আনন্দ হলেও গান, কষ্ট পেলেও গান। প্রাণের সঙ্গে যেন গানের অন্যরকম এক বন্ধন। বিজ্ঞানীরাও বলছে একই কথা। জানাচ্ছেন, গানের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে শরীর ও মনের।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত গান গাইলে শরীর ও মস্তিষ্কের ভিতরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে, ছোটবড় অনেক রোগই কাছে ঘেঁষতে পারে না। একইসঙ্গে মানসিক চাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে গান কীভাবে মন ভালো রাখে? চলুন জেনে নিই বিস্তারিত-
মন ভাল রাখে
গবেষণা অনুযায়ী, গান গাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীর থেকে তিনটি ‘হ্যাপি হরমোন’ ক্ষরণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এগুলো হলো এন্ডরফিন, সেরেটোনিন এবং ডোপামাইন। অধ্যাপক ডেইজি ফ্যানকোর্টের মতে, গান গাইলে কর্টিসলের মতো স্ট্রেস হরমোন বা মানসিক চাপ সৃষ্টিকারী হরমোনের পরিমাণ কমে যায়। আর তাই গান শুনলে মন ফুরফুরে থাকে।
ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়ায়
গান গাইলে ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কেবল তাই নয়, ফুসফুসের জটিলতা কাটিয়ে তুলতেও সাহায্য করে এটি।
অবসাদ দূরে রাখে
গান গেলে মস্তিষ্কের ভেতর এন্ডরফিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এর প্রভাবে মানসিক চাপ তো কমেই, সেই সঙ্গে মন খুশিতে ভরে ওঠে। তাই, এখন থেকে মন খারাপ থাকলে একটু গান গেয়ে নিতে পারেন। উপকার মিলবে।
স্মৃতিশক্তি উন্নত করে
গান গাওয়ার সময় ব্রেনে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বেড়ে যায়। স্বাভাবিক ভাবেই মনেযোগ এবং স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে। এ ছাড়া কথা মনে করে, সুরে, লয়ে এবং তালে গান গাওয়াটাও কিন্তু মস্তিষ্কে এক ধরনের চর্চা।
বুঝলেন তো, শরীরের জন্য গান কতোটা উপকারি। এখন থেকে তাই অবসর মিললে গান গাইতে চেষ্টা করুন। গান না গাইলেও অন্তত গান শুনুন, আনন্দে বাঁচুন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।