রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
যশোরের চৌগাছা উপজেলার বিভিন্ন সড়কের দু’পাশে অসংখ্য মরাগাছ (শুকনা) এখন যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। দেখার যেন কেউ নেই। সামান্য ঝড়-বৃষ্টি ও একটু বাতাসে গাছের বড় বড় ডাল এমনকি মরাগাছ ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন সড়কেই এসব মরা গাছগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ফলে পথচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। এমন কি এসব সড়কে হালকবা বাতাসহলেই যানবাহন চলাচলে ব্যাপক ঝুঁকি হয়ে পড়ে। যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যশোর জেলা পরিষদ সড়কের গাছগুলোর মালিকানা দাবি করলেও সড়ক থেকে মরা-শুকনা গাছগুলো অপসারনের কোন উদ্যোগ নিচ্ছেন না তাঁরা।
চৌগাছা-যশোর, চৌগাছা-ঝিকরগাছা, চৌগাছা-মহেশপুর, চৌগাছা-কোটচাঁদপুর, চৌগাছা-শর্শা সড়কগুলোর দু’পাশে জেলা পরিষদের মেহগনী, শিশু, কড়াই, বাবলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে আম্পান, নারগিচসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অনেক গাছ পড়ে বা ভেঙে মারা গেছে। এছাড়া ফসলি জমির পাশে গাছ থাকায় এই সব গাছের ছায়া ও পাতায় নষ্ট হচ্ছে ফসল। তাই জমির মালিকরা নানা কৌশলে সড়কের পাশের গাছ মেরে ফেলছে। পথচারী ও এলাকাবাসী জানান, বিভিন্ন সড়কের দু’ধারে অনেক গাছ মরে রয়েছে। এছাড়া গাছ খেকোরা সরকারিগাছ কেটে সাবাড় করছে রাতের আঁধারে। গাছের গোড়া থেকে দেড় থেকে দুই হাত ওপরে বাকল কেটে রাখা হয়। কখনো আবার গাছের গোড়ায় অতি মাত্রায় রাসায়নিক সার ব্যাবহার করা হয়। একই সাথে দেয়া হচ্ছে লবণ। এসব পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন সড়কে শত-শত গাছ মরে বিপজ্জনকভাবে দাড়িয়ে রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিদিন চৌগাছা-ঝিকরগাছা, চৌগাছা-মহেশপুর, চৌগাছা-কোটচাঁদপুর, চৌগাছা-শর্শা সড়কগুলোতে ছোট বড় শত শত যানবহন চলাচল করে। এছাড়া সড়কের পাশে রয়েছে শ’ শ’ বসতবাড়ি। মরা গাছের কারণে স্কুল-কলেজ, মাদরাসার শিক্ষার্থী ও পথচারীসহ বসবসকারীরা রয়েছেন রিতীমত আতঙ্কে। অতি সম্প্রতি চৌগাছা শহরের মুসলিম জুয়েলার্সের মালিক হায়দার আলী চৌগাছা-যশোর সড়কের কড়ইতলা নামক স্থানে সড়কের পাশের একটি গাছের ভেঙে পড়া ডালের আঘাতে মারাত্মকভাবে আহত হন। আহতকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে চৌগাছা সরকারি মডেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর পরে খুলনা এবং সর্বশেষ ঢাকাতে নিতে হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, গাছগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থাতে দাঁড়িয়ে আছে। বিষয়টি আমি নিজে দেখেছি। তবে ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো অপসরণের জন্য কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। সড়কের গাছগুলো যশোর জেলা পরিষদের। জেলা পরিষদকে বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।