Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঋষি সুনাক : ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হলেন একঝাঁক রেকর্ড গড়ে

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ অক্টোবর, ২০২২, ১:৫৫ পিএম

যুক্তরাজ্যের একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত, অশ্বেতাঙ্গ, এশীয়, প্রথম হিন্দু নেতা সুনাক ১৮১২ সালের পর সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী এবং সবচেয়ে দ্রুত প্রধানমন্ত্রী পদে পৌঁছানোর রেকর্ড গড়েছেন। নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
যুক্তরাজ্যে ২০১৫ সালে প্রথম এমপি হওয়া দিয়ে শুরু। তারপর মাত্র সাত বছরেই ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা এবং একইসঙ্গে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন ঋষি সুনাক। কারণ, ইতিহাসের পাতায় একঝাঁক রেকর্ড গড়ে অনেক প্রথমের জন্ম দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতার শীর্ষ পদে বসছেন তিনি।
সুনাক এই প্রথম যুক্তরাজ্যে একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অভিবাসীর সন্তান, একজন অশ্বেতাঙ্গ, এশীয় এবং প্রথম হিন্দু ধর্মাবলম্বী নেতা হিসাবে দেশ চালাবেন। এখানেই শেষ নয়, গত ২০০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে মাত্র ৪২ বছর বয়সে প্রথম যুক্তরাজ্যের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীও হচ্ছেন তিনি।
দেশটির রাজনীতির ইতিহাসে সাম্প্রতিক সময়ে ২০১০ সালের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের চেয়েও ছোট সুনাক। ২০১০ সালে ক্যামেরন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সময় তার বয়স ছিল ৪৩। আর এর আগে ১৮১২ সালে সর্বকনিষ্ঠ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন টোরি দলের রবার্ট জেনকিনসন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সময় সদ্য ৪২ এ পা দিয়েছিলেন তিনি।
বয়সের রেকর্ড ছাড়াও আধুনিক যুগে প্রথমবার এমপি হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে দ্রুত প্রধানমন্ত্রী পদে পৌঁছানোর রেকর্ড গড়েছেন সুনাক। রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছ থেকে সরকার গঠনের প্রথম আমন্ত্রণও পেতে চলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এ নেতা।
অর্থাৎ, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ-পরবর্তী যুগে শপথ নেওয়া প্রথম ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হবেন ঋষি সুনাক। যুক্তরাজ্যে গত সাধারণ নির্বাচনের পর থেকে বরিস জনসন এবং লিজ ট্রাসের পর সুনাক হচ্ছেন তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী। ইতিহাস সৃষ্টি করে একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি হিসেবেও ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে প্রবেশ করছেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার লিজ ট্রাস প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করার পর কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও হাউস অব কমন্সের স্পিকার পেনি মরডান্ট এ নির্বাচনে সুনাকের প্রতিপক্ষ ছিলেন।
তারা দুজনই সোমবার সরে দাঁড়ালে সুনাক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রধানমন্ত্রী হয়ে যান। এর মাত্র সাত সপ্তাহ আগেই কনজারভেটিভ দলের নেতা নির্বাচনে লিজ ট্রাসের কাছে হেরে গিয়েছিলেন সুনাক।
এত অল্প সময়েই সবকিছু ওলট-পালট হয়ে যাবে, তা সম্ভবত তখন ভাবতেও পারেননি তিনি। অবশেষে তাই হয়েছে। কনজারভেটিভ পার্টিতে ঝড়ের মুখে ট্রাস বিদায় নেওয়ার পর এবার জয়ী হয়ে ফিরে এসেছেন সুনাক।
জন্ম ও বেড়ে ওঠা: চিকিৎসক বাবা যশবীর সুনাক এবং ফার্মাসিস্ট মা উষা সুনাকের ঘরে ১৯৮০ সালের ১২ মে যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটনে জন্ম গ্রহণ করেন ঋষি সুনাক। ভারতে যখন ব্রিটিশ শাসন চলছে ওই সময়ে (১৯৩৫ সালে) ঋষির দাদা রামদাস সুনাক উন্নত জীবনের আশায় পাঞ্জাব থেকে পরিবার নিয়ে পশ্চিম আফ্রিকার নাইরোবিতে চলে যান। ঋষির বাবা যশবীরের জন্ম কেনিয়ায় এবং মা উষার জন্ম তানজানিয়ায়। ঋষির দাদা পুরো পরিবার নিয়ে ১৯৬০ সালে যুক্তরাজ্যে চলে যান এবং সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে।
ঋষি সুনাক উইনচেস্টার কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া করেন। এরপর তিনি ভর্তি হন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে তিনি দর্শন ও অর্থনীতি নিয়ে লেখাপড়া করেন। তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ফুলব্রাইট স্কলার ছিলেন, যেখান থেকে তিনি এমবিএ শেষ করেন।
কর্মজীবন: ঋষি সুনাক স্নাতক শেষ করে গোল্ডম্যান শ্যাক্সের সঙ্গে কাজ করা শুরু করেন। পরে তিনি হেজফান্ড ফার্মের অংশীদার হন। রাজনীতিতে আসার আগে ঋষি একটি বিলিয়ন পাউন্ডের গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই কোম্পানি যুক্তরাজ্যে ক্ষুদ্র ব্যবসায় বিনিয়োগে সহায়তা করতো।
বিয়ে এবং ধনী স্ত্রী: ভারতের তথ্য প্রযুক্তি খাতের বৃহৎ কোম্পানি ইনফোসিসের সহ প্রতিষ্ঠাতা ধনকুবের নারায়ণ মূর্তির মেয়ে অক্ষতা মূর্তির সঙ্গে ২০০৯ সালে বিয়ে হয় ঋষির। তাদের দুই মেয়ে কৃষ্ণা ও আনুশকা। ধনী স্ত্রীর কারণে ঋষিকে বার বার সামালোচিত হতে হয়েছে। বিশেষ করে তার স্ত্রীর কর ফাঁকি সংক্রান্ত কাণ্ডের কারণে।
অক্ষতা ভারতীয় নাগরিক হওয়ায় যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা হিসেবে তার পুরো আয়ের উপর কর দিত বাধ্য ছিলেন না। তিনি শুধু যুক্তরাজ্য থেকে যে আয় করেছেন সেটার উপর কর দেন। অথচ, অক্ষতা মূর্তি যুক্তরাজ্যের শীর্ষ ধনীদের একজন। সানডে টাইমস রিচ লিস্ট ম্যাগাজিনের এক খবরে দাবি করা হয়েছিল, অক্ষতার সম্পদের পরিমাণ প্রয়াত ব্রিটিশ রানি দ্বীতিয় এলিজাবেথের চেয়েও বেশি। ওয়েস্টমিনস্টারের প্রথম কোটিপতি দম্পতি হিসেবে তাদের নাম আসে।
রাজনীতিতে প্রবেশ: ঋষি সুনাক ২০১৫ সালে ইয়র্কশায়ারের রিচমন্ড আসন থেকে কনজারভেটিভ প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়ে প্রথমবারের মত পার্লামেন্ট সদস্য হন। ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি পরিবেশ, খাদ্য এবং গ্রামীণ বিষয়ক নির্বাচন কমিটির সদস্য ছিলেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছেদের প্রশ্নে ২০১৬ সালের গণভোটে তিনি ‘ব্রেক্সিটের’ পক্ষে ছিলেন এবং বরিস জনসনের নেতৃত্বে যে দলটি ব্রেক্সিটের পক্ষে প্রচার চালিয়েছিল তিনি তার সদস্যও ছিলেন।
২০১৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে সুনাক তার আসন থেকে পুনরায় নির্বাচিত হন। ২০১৮ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত তিনি স্থানীয় সরকারের পার্লামেন্টারি আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট ছিলেন।
২০১৯ সালে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচনে তিনি বরিস জনসনকে সমর্থন করেছিলেন। ওই বছর ২৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী জনসন তাকে চিফ সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি (সিএসটি) নিয়োগ দেন। তখন চ্যান্সেলর ছিলেন সাজিদ জাভিদ। পরদিন তিনি প্রিভি কাউন্সিলের সদস্য হন।
২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে আরও বড় ব্যবধানের জয় নিয়ে পুনরায় এমপি হন ঋষি সুনাক। পরের বছরটি তার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ এক ঘটনা ঘটে। ওই বছর ফেব্রুয়ারিতে জনসনের মন্ত্রিসভার রদবদলে তিনি যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পেয়ে যান।
নানা কারণে বিতর্কিত: চ্যান্সেলর ঋষির জনপ্রিয়তায় বড় ধাক্কা ছিল ‘পার্টিগেট’ কেলেঙ্কারি। কোভিড-১৯ বিধি লঙ্ঘন করে লকডাউনের মধ্যে সরকারি অফিসে পার্টির আয়োজন করে ওই সময়ের প্রধানমন্ত্রী জনসনের সঙ্গে চ্যান্সেলর ঋষিও ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন। পরে জনসনের পাশাপাশি ঋষি সুনাকও ওই কাণ্ডের জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চান এবং শাস্তি হিসেবে জরিমানা দেন। লকডাউনের মধ্যে পার্টি করার কেলেঙ্কারিই জনসন সরকারের পতনের মূল কারণ বলে বিবেচনা করা হয়।
সুনাক গত জুলাই মাস থেকেই যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে আলোচিত হয়ে উঠেছিলেন। গত ৫ জুলাই হঠাৎ করেই চ্যান্সেলরের (ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী) পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন সুনাক। তার পরপরই ওই সময়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদের পদত্যাগের ঘোষণা আসে। ব্যক্তিগত নানা কেলেঙ্কারিতে নাজুক অবস্থায় থাকা বরিস জনসনের প্রধানমন্ত্রীত্বে শেষ ধাক্কা হিসেবে দেখা হয় গুরুত্বপূর্ণ ওই দুই মন্ত্রীর পদত্যাগকে।
কারণ, তাদের পদত্যাগের দুইদিনের মাথায় প্রধানমন্ত্রী জনসন পদত্যাগের ঘোষণা দেন। জনসনের সমর্থকরা তখন সুনাকের বিরুদ্ধে সুযোগ-সন্ধানীর অভিযোগ তুলেছিল। তবে সুনাক এর জবাবে বলেছিলেন, নৈতিক কারণে সে সময়ে তিনি সরে গিয়েছিলেন।
ট্রাসের বিপক্ষে এগিয়ে থাকার পরও পরাজয়ের কারণ: বরিস জনসনের পদত্যাগের পর নেতৃত্বের লড়াইয়ে শুরুতে ঋষি সুনাকই এগিয়ে ছিলেন। এমনকী দলের নেতা নির্বাচনের প্রথম দফা ভোটে তিনিই জিতেছিলেন। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তার জনপ্রিয়তায় ভাটার টান দেখা দেয়।
এর কারণ বিশ্লেষণে সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, জনসনের পদত্যাগের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর ঋষি সুনাক একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন। যেটির শিরোনাম ছিল ‘ঋষির জন্য প্রস্তুত হও’। প্রাথমিকভাবে ভিডিওটি তার পক্ষে গেলেও সেটির কারণে দলীয় নেতাদের সঙ্গে তার আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়।
সাজিদ জাভিদ, নাদিম জাহাওয়ি ও পেনি মর্ডেন্টের মত ‘হেভিওয়েট’ এমপিদের সমর্থন হারান তিনি। স্ত্রীর অঢেল সম্পদ নিয়ে বিতর্ক, বিলাসবহুল জীবনযাপন, অর্থ বিভাগের অবস্থা, করনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুনাকের ভাবমূর্তি নিয়ে পুরাতন বিতর্ক নতুন করে শুরু হয়। অনেকে সুনাককে সাধারণ ব্রিটিশদের ধরা-ছোঁয়ার বাইরের মানুষ বলে মনে করেন।
হিন্দু নেতা : ২০১৯ সালে এক সাক্ষাৎকারে সুনাক বিবিসি-কে বলেছিলেন, আত্মপরিচয় তার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, তার বাবা-মা যুক্তরাজ্যে বসতি গেড়েছেন। তাই তিনি এমন প্রজন্মের মানুষ যার জন্ম সেদেশে হলেও তার বাবা-মার জন্ম অন্যখানে।
নিজের সংস্কৃতি চর্চা নিয়ে বলতে গিয়ে সুনাক বলেন, সপ্তাহ শেষে তিনি মন্দিরে যান। তিনি একজন হিন্দু। সুনাক জানান, তাকে বর্ণবাদী আচরণের মুখোমুখি হতে না হলেও একটি ঘটনা ঘটেছিল, যেটি এখনও তার মনে দাগ কেটে আছে।
কোভিড চ্যাম্পিয়ন: কনজারভেটিভ পার্টিতে তরতরিয়ে উপরে উঠছিলেন সুনাক। ২০২০ সালে তিনি ‘চ্যান্সেলর অব দ্য এক্সচেকার’ অর্থাৎ, অর্থমন্ত্রী হন। এরপরই যুক্তরাজ্যে শুরু হয় কোভিডের ঢেউ।
সুনাক পেশ করেন ‘কোভিড-বাজেট’। প্রথমেই সরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থা ‘ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস’ বা এনএইচএস-র খাতে তিনি প্রায় ব্ল্যাঙ্ক চেক লিখে দেন। কোভিড-মোকাবেলায় যত খরচ লাগে তা করার প্রতিশ্রুতি দেন।
শুধু স্বাস্থ্য নয়, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি-কে কোভিড থেকে বাঁচাতে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। স্বনিযুক্ত কর্মীদের অসুস্থতার সময় সাহায্য করতে ‘এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট অ্যালাওয়েন্স’ অনুদানের ব্যবস্থা করেছেন। স্কটল্যান্ডের জন্য আলাদা তহবিল বরাদ্দ করেছেন।
লকডাউনের কারণে দেশ-বিদেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাগুলো ধুঁকছিল। কোভিড মোকাবেলায় সরকারি ঋণ হিসেবে সুনাক তাদের তহবিল সহায়তা দেন। অসংগঠিত ক্ষেত্রে স্বনির্ভর, স্বেচ্ছসেবী কর্মীদের কাছে সরাসরি সাহায্য পৌঁছানোর ব্যবস্থাও করেছেন তিনি।
এভাবে কোভিড সামালের কাজটি সুনাক ভালভাবেই করেছিলেন। আর সেটি করেই দেশজুড়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠেন তিনি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাজ্য


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ