বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খেলা হবে, কী খেলা হবে? ভোটচুরি ও ভোট জালিয়াতির বিরুদ্ধে খেলাহবে। দুর্নীতি লুটপাটের বিরুদ্ধে খেলা হবে। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে খেলা হবে।
কত মানুষকে তোমরা হত্যা করেছো। আজ বড় বড় কথা বলো। আজ বড় বড় কথা বলে।তারা নাকি বাধা পাচ্ছে। আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে থেকে আমাদের পিটিয়ে উঠিয়ে দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে।
রোববার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ওসমানী স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে একথা বলেন তিনি। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামীলীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক।
মীর্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, লক্ষ লোক আপনাদের সাথে নেই। আমাদেও সাথে আছে। তত্বাবধায়ক সরকারের স্বপ্ন ভুলে যান। এই লক্ষ লক্ষ লোক নিয়েই খেলা হবে। ডিসেম্বরে বিজয়ের মাস। জনতার বিজয়ের জয়োধ্বনি শুনতে পারবেন।
তিনি বলেন, আমার ভাল লাগছে। শামীম ফাইটার পলিটিশিয়ান। তার সাথে
নারায়ণগঞ্জের পরপর তিনবার নির্বাচিত মেয়র। তাদের একই মঞ্চে দেখছি। আমার আসা সার্থক হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের শক্তি এরা। আগামীতে কঠিন দিন আসছে।তিনি আরও বলেন, তত্বাবধায়ক সরকার ভুলে যান। সারা পৃথিবীতে যেখাবে নির্বাচন হয় সেভাবেই হবে৷ সরকার কোন হস্তক্ষেপ করবে না। বিএনপির মত হোন্ডা গুন্ডা নিয়ে ভোট শেষ। এসবের বিরুদ্ধে খেলা হবে। এদের মোকাবিলা করা হবে।
তিনি বলেন, এর আগে কী এ সংকট ছিল। এ সংকট বৈশ্বিক। শেখ হাসিনার ঘুম নেই।শেখ রেহানা এখনও বাসে চেপে যাতায়াত করে। তাূর ঘুম নেই আপনাদের জন্য,জনগণের জন্য। এটা মনে রাখবেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কমিটি একটা হবে।নতুন নেতা আসতে দেন। বসন্তের কোকিল আছে দুঃসময়ের লোক নেই৷ কিছু মানুষ
টাকা ছাড়া কিছু বোঝে না৷ আর কত টাকা দরকার৷ মানুষ সব লক্ষ্য করে। কে কি
করে তা শেখ হাসিনাও জানে। পদ বানিজ্যের কথা যেন না শুনি। ডেকে ডেকে পকেটের লোক বসাবেন তা চলবে না৷ এবার তদন্ত করে খোঁজ খবর নেব। পয়সা খেয়ে কমিটি করা লোকদের আমাদের প্রয়োজন নেই। ভাল হয়ে যান, নিজেদের সংশোধন করুন।
যারা এখান ভীড় করে দুঃসময়ে তাদের পাঁচ হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও খুজেপাওয়া যাবে না। এমন নেতাদের কী আমাদের দরকার আছে? দরকার নেই।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ¯ি’ত ছিলেন আওয়ামীলীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য
কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি, আইন বিষয়ক
সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল
কান্তি দাস, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কার্যকরি পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওছার, আনোয়ার হোসেন, সাহাবউদ্দিন ফরাজী, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একেএম শামীম ওসমান, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ডা.সেলিনা হায়াত আইভি, পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ও ছাত্রলীগের সাবেকসাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোঃ শহিদ বাদল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।