যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
কোনো অনুষ্ঠান, পার্টি বা দাওয়াতে হরেক রকমের লোভনীয় সব খাবারদাবার থাকে। অল্প করে সব আইটেম খেলেও নিজের অজান্তেই অতিরিক্ত খাওয়া হয়ে যায়।
এই সমস্ত খাবার খাওয়ার প্রলোভন প্রতিরোধ করা যে কারও পক্ষে কঠিন হতে পারে। বিশেষ করে যখন আপনি পরিবারের সঙ্গে বাড়িতে থাকেন বা বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করেন।
উৎসব মেজাজের সঙ্গে আপস না করে অতিরিক্ত খাওয়া এড়াতে অনুসরণ করতে পারেন কিছু টিপস।
১. খালি পেটে বাইরে বের না হওয়া: বাইরে যাওয়ার আগে বাড়িতে কিছু খাওয়া নিশ্চিত করুন। স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স হলেও খেয়ে নিন। আপনি ক্ষুধার্ত নন এটি নিশ্চিত করুন।
ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্যও একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ টিপস।
২. খাবারের আশপাশে থাকবেন না: খাবার কাউন্টারের চারপাশে বেশিক্ষণ থাকা এড়িয়ে চলুন। সাধারণত সবাই রাতের খাবারের সময় আলোচনা পছন্দ করি। কথা বলতে বলতে খেলে অতিরিক্ত খাওয়া পড়ে কিন্তু সেদিকে ভ্রুক্ষেপও করেন না।
তাই খাওয়া শেষ করে হাত ধুয়ে অন্য ঘরে চলে যেতে ভুলবেন না।
৩. স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স: সুস্বাদু প্রধান খাবার ছাড়াও, বেশ কয়েকটি বিকল্প খাবার পরিবেশন করা হয়। যা স্বাস্থ্যকর উপায়ে আপনার পেট ভরবে। উদাহরণস্বরূপ, সালাদ, ভাজাভুজি বা ভাজা শাকসবজি এবং এমনকি স্যুপ হল বিকল্প খাবার যা আপনি মূল কোর্স শুরু করার আগে খেতে পারেন। এগুলো আপনার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করবে, যার ফলে অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করবে।
৪. পরিমাণে কম নেওয়া: একসাথে সব খাবার প্লেটে নেওয়া থেকে বিরত থাকুন। আর যদি সব আইটেম পরখ করতেই চান তবে পরিমাণে অল্প নেবেন। সম্ভব হলে ছোট প্লেটে খাবার খাবেন।
৫. সামাজিক চাপের বাইরে গিয়ে পার্টিতে খাওয়ার ক্ষেত্রে ‘না’ বলতে শিখুন। হাতে পানীয়ের গ্লাস রাখুন এবং সময়ে সময়ে চুমুক দিতে থাকুন।
৬. ধীরে খান: লোভনীয় সব খাবার এড়াতে ধীরে ধীরে খান। খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খান। খাওয়া শেষে তৃপ্তি পাবেন পাশাপাশি বাড়তি খাবার আনার সুযোগও থাকবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।