চুয়াডাঙ্গায় আদালত চত্বর থেকে হাতকড়া খুলে পুলিশ হেফাজত হতে পালিয়ে যাওয়া হত্যা ডাকাতিসহ ১৪টি মামলার আসামীকে ঢাকার ধামরাই থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারই কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিং সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

প্রেস ব্রিফিং এ পুলিশ সুপার বলেন, গত ১৬ অক্টোবর রবিবার বেলা ১১টার দিকে জেলা কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে কোর্ট কাস্টাডিতে নেয়ার সময় গোপালগঞ্জের মকছদপুর উপজেলার জলিরপাড় আশ্রয়কেন্দ্রের মরহুম ফজল শেখের ছেলে হত্যা,ডাকাতিসহ ১৪টি মামলার আসামী আজিজুল শেখ ওরফে আশিকুল ওরফে আশিক (৩৯) হাতকড়া খুলে পুলিশ হেফাজত থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়। এরপর চুয়াডাঙ্গা জুডিশিয়াল আদালতের অফিসার ইনচার্জ কে.এম.জাহাঙ্গীর কবীর বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা করে। যার নম্বরঃ ১৪, তারিখঃ ১৬.১০.২০২২, ধারাঃ ২২৪ পেনাল কোড। মামলা রুজুর পর তারই তত্ত¡াবধায়নে জেলা ডিক্টেটিভ ব্রাঞ্চের (ডিবি) একাধিক দল আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। ডিবি ইনচার্জ আলমগীর কবীর,এসআই সোহেল রানা, এসআই মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন, এসআই রাশিদুল হাসান, এসআই মুহিদ হাসান, এএসআই রমেন কুমার সরকার প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে আসামী আজিজুল শেখ ওরফে আশিকুল ওরফে আশিককে গত ২০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে ঢাকার ধামরাই থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। তার বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় ডাকাতি মামলা রয়েছে। যার নম্বরঃ ৪৮ তারিখঃ ২৯.০৮.২০১৬, ৩৯৫/৩৯৭ দন্ডবিধি এবং এস/সি নম্বরঃ ৮৬৮/১৯। সে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে বন্দি ছিল।

উল্লেখ্য, কোর্ট চত্বর থেকে পুলিশ হেফাজতে থাকা আসামী আজিজুল শেখ ওরফে আশিকুল ওরফে আশিক (৩৯) কৌশলে পালিয়ে যাওয়ায় কর্তব্য অবহেলার দায়ে এটিএসআই/২৮৪ আনোয়ার হোসেন, কনস্টেবল/৩৯৪ মোঃ মিলন হোসেন ও নারী কনস্টেবল/৪১২ মোছাঃ বেনজির নাহারকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার পর ঘটনাটি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, ডিবি অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর ও আরওআই রিজার্ভ অফিস আব্দুল বারেককে দায়িত্ব দেয়া হয়।