গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযানের দ্বিতীয় দিন বাড়ি বাড়ি এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১৫টি মামলায় মোট ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত। দ্বিতীয় দিনের অভিযানেও নির্মাণাধীন ভবনগুলোতে সর্বোচ্চ পরিমাণ এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলেই একযোগে অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। গতকাল থেকে শুরু হওয়া এই অভিযান ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত পরিচালিত হবে। ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন আগারগাঁও এলাকায় ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ মশক নিধন অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে তিনি একটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন। এছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য প্রস্তুত এবং রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করায় অপর একটি মামলায় রেস্টুরেন্ট মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
ডিএনসিসির অঞ্চল ৪ এর আওতাধীন ১১ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কল্যাণপুর নতুন বাজার, পূর্ব মনিপুর এলাকায় অভিযানকালে প্রায় ১০৫টি ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় একটি বাড়িতে লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ২ লাখ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবেদ আলী। এছাড়াও অঞ্চল-৬ এর আওতাধীন উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টর এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন অভিযান পরিচালনা করে ৩টি নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পান। এ সময় ভবন মালিককে ৩টি মামলায় ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যদিকে অঞ্চল-৯ এর আওতাধীন খিলবাড়িরটেক অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত। অভিযানে তিনটি নির্মাণাধীন বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৩টি মামলায় ৯০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ডিএনসিসির অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে ১টি নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অঞ্চল-২ এর আওতাধীন রূপনগর এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান অভিযান পরিচালনা করে একটি বাড়িতে লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। এছাড়াও অঞ্চল-১ এর আওতাধীন কুড়িল এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে বাসা বাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে, ফাঁকা প্লট, ড্রেন ঝোপঝাড়ে কিউলেক্স মশক বিরোধী অভিযান ও সমন্বিততভাবে এডিস বিরোধী অভিযানে ৬টি স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩টি মামলায় মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং ৩টি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।