Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

এয়ারপোর্টের পার্শ্ববর্তী খাল ডোবাগুলোতেই মশার চাষ হচ্ছে: ডিএনসিসি মেয়র

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ৪:২৪ পিএম

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, এয়ারপোর্টের পার্শ্ববর্তী খাল, জলাশয় ও ডোবাগুলোতেই মশার চাষ হচ্ছে। তিনি বলেন, সব সংস্থাকে নিজেদের খাল, জলাশয় ও ডোবা পরিষ্কার করতে হবে। সংস্থাগুলোকে নিজেদের অধীন এলাকা পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব নিতে হবে।

বুধবার রাজধানীর বিমানবন্দরের কুর্মিটোলায় সিভিল অ্যাভিয়েশন স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন কাওলা খাল এলাকায় মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও প্রকৌশল বিভাগ এর সমন্বয়ে ১৫ দিন ব্যাপী সমন্বিত মশক নিধন কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আজ ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ থেকে শুরু হওয়া সমন্বিত মশক নিধন কার্যক্রম একযোগে প্রতিটি ওয়ার্ডে ১৫দিন চলবে। সমন্বিত মশক নিধন কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে ডিএনসিসি মেয়র সিভিল অ্যাভিয়েশনের অধীন জলাশয় ও এয়ারর্পোট বাউন্ডারি সংলগ্ন খাল, রাজউকের অধীন উত্তরা ১৫ নং সেক্টরের ২নম্বর ব্রিজ পাড়ের খাল পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মেয়র বলেন, এয়ারপোর্টের পার্শ্ববর্তী খাল, জলাশয় ও ডোবাগুলোতেই মশার চাষ হচ্ছে। এগুলো সিভিল অ্যাভিয়েশন, রাজউক, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষসহ অন্যান্য সংস্থার অধীন। সরেজমিনে এসে দেখলাম এগুলোতে প্রচুর পরিমানে কচুরিপানা। এই কচুরিপানা পরিষ্কার না করলে আমরা সিটি কর্পোরেশন থেকে যতই মশার ওষুধ দেই না কেন মশা নিধন করা সম্ভব না। সব সংস্থাকে নিজেদের খাল, জলাশয় ও ডোবা পরিষ্কার করতে হবে। সংস্থাগুলোকে নিজেদের অধীন এলাকা পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব নিতে হবে।


মেয়র আরও বলেন, সংস্থাগুলো সমন্বিতভাবে কাজ না করলে খাল ও জলাশয় থেকে মশা নিধন খুব দুরুহ কাজ। সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে এটি সম্ভব না। আমরা বারবার বলেও ব্যর্থ হচ্ছি। বারবার বলা শর্তেও কেউ কর্ণপাত করছে না। এটি একজন আরেকজনকে দোষারোপ করার বিষয় নয়। সব সংস্থাগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে তাহলেই সমাধান সম্ভব।

আন্তমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে ডিএনসিসির মেয়র বলেন, আন্তমন্ত্রণালয় মিটিং হয়েছে। তাতে সিভিল অ্যাভিয়েশন, রাজউক, রেলওয়ে, পানি উন্নয়ন বোর্ড অংশ নিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যার যার জায়গার কচুরিপানা নিজেরা পরিষ্কার করবে। সবাইকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সিভিল অ্যাভিয়েশনের জায়গা আপনারা নিজেরা পরিষ্কার করে দেন। সিভিল অ্যাভিয়েশন পরিষ্কার করতে না পারলে ওই জায়গা আমাদের দিয়ে দিক। আমরা পরিষ্কার করে নেব।

মেয়র আতিক বলেন, খাল তো আমরা পরিষ্কার করেছি। আগে কী অবস্থা ছিল আপনারা দেখেছেন। জায়গার দায়িত্ব না নিতে পারলে কাগজে রেজিস্ট্রি করে দেন। আমরা পরিচ্ছন্ন রাখব। যে জায়গায় বা জলাশয়ে কচুরিপানা নেই, সেখানে আমরা মশার ওষুধ স্প্রে করে দেব। কিন্তু যেখানে কচুরিপানা দিয়ে ভর্তি, সেখানে স্প্রে করব কীভাবে!

এসময় মেয়র সিভিল অ্যাভিয়েশন ও রাজউকের প্রতিনিধিদের সাত দিনের মধ্যে জলাশয়ের সকল কচুরিপানা পরিষ্কার করার আহবান করেন। সাত দিনের মধ্যে কচুরিপানা পরিষ্কার না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি দেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডিএনসিসি মেয়র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ