পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমরা ভোটের অধিকারের জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করেছি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নির্বাচন কমিশন কোনো নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে সক্ষম নন। একটা আজ্ঞাবহ পুতুলের মতো কাজ করেন। সে কারণেই আমরা বলছি, নিরপেক্ষ সরকার গঠনের পর নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, চলমান আন্দোলন বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী না তাদের হঠানোর আন্দোলন। কর্মসূচিতে যত বাধা আসবে, ততই আন্দোলনে সফলতা আসবে। ২২ অক্টোবর খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করতে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা একযোগে কাজ করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, নেতাকর্মীদের বাড়ি-বাড়ি তল্লাশি অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে, ভয়ভীতি দেখিয়ে লাভ হবে না।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং ভয়ভীতি ছড়াতে মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এবং অন্যান্য জেলা থেকে খুলনায় আসা বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অসংখ্য বাড়িতে চলেছে পুলিশের তল্লাশি অভিযান। একইসঙ্গে শাসক দলীয় ক্যাডাররা এলাকাভিত্তিক নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে নানা ধরনের হুমকি ও ভীতি প্রদর্শন করছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিএনপি সন্ধ্যায় তাৎক্ষণিক এই প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে।
খুলনায় বিভাগীয় গণসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা গয়েশ্বর রায় বলেন, বিএনপি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন করছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম করছে বিএনপি। এই সরকার উন্নয়নের নামে সিংহভাগ টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করছে। পাচারের সঙ্গে জড়িতরা সবাই সরকারের সঙ্গে জড়িত। সরকারের ব্যর্থতা ও লুটপাটে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন। বিএনপি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে আন্দোলন করছে। অবৈধ পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে।গয়েশ্বর রায় বলেন, মাদার অব ডেমোক্রেসি বেগম খালেদা জিয়াকে ফরমায়েশি রায়ে বন্দি রাখা হয়েছে। একমাত্র নজির তিনি যাকে জামিন দেওয়া হয়নি।
খুলনার ট্রান্সপোর্ট মালিকদের বাধ্য করা হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রাখতে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, আশা করব তারা রাস্তায় বাস নামাবেন। পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সরকারের অন্যায় আদেশ মানা আপনাদের দায়িত্ব না। সার্ভিস রুল অনুসরণ করুন। এই সরকার আপনাদের কোনো ক্ষতি করলে ভবিষ্যতে আমরা সেই ক্ষতি পুষিয়ে দেব। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সব তথ্য সংগ্রহ করে রাখুন। আজ হয়তো সব তথ্য প্রকাশ করতে পারবেন না। কিন্ত এক দিন আসবে যখন এই তথ্যের ভিত্তিতে আমরা তাদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে পারব।
প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রারম্ভিভ বক্তব্যে নগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ও নেতাকর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছে- সাবেক কাউন্সিলর মাহমুদ আলম বাবু মোড়ল, নগর বিএনপির সদস্য খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক, বেলাল হোসেন, ২৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম, যুবদল নেতা কাজী সেলিম, ডালিম, ডা. শাহ আলম, জুলু, গোলাম মোস্তফা ভুট্টো, মিজানুর রহমান বাবু এবং বাগেরহাট থেকে সমাবেশে যোগ দিতে খুলনায় আসা কৃষক দল নেতা মিঠুসহ চারজন।
এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলা সভাপতি শেখ তৈয়েবুর রহমান, নগর যুবদল সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, যুবদল নেতা আব্দুল আজিজ সুমন, জাবির আলী, স্বেচ্ছাসেবক দলের খায়রুজ্জামান সজীব, কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান মনি, বুলবুল মোল্লা, তৌহিদ, ফারুক হোসেন, আলতাফ খান, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, কাজী মিজানসহ অসংখ্য নেতাকর্মীর বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। খুলনার বাইরে বিভিন্ন জেলা থেকে আসার পথে নানা স্থানে বাস থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে মোবাইল, ফেসবুক চেক করা হয়। বিএনপির সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেদম মারপিট করে সর্বস্ব কেড়ে নেওয়া হয়। বিশেষ করে বাগেরহাটে বিভিন্ন হামলা নির্যাতনের খবর পাওয়া যায়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক রকিবুল ইসলাম বকুল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্তু কুমার কুন্ডু, নগর আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা, শেখ মুজিবর রহমান, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, জেলা আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, মনিরুল হাসান বাপ্পী, মো. তারিকুল ইসলাম জহীর প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।