পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যাত্রীদের নিরাপত্তায় বাসের ভেতরে বাসের নিবন্ধন নম্বর প্রদর্শনের দাবি জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। গতকার সোমবার এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ ও নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে রাতের ফাঁকা বাসে চালক ও সহকারীরা নারী যাত্রীদের ধর্ষণ ও হত্যা করে মরদেহ রাস্তায় ফেলে দিচ্ছেন। অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে ঝগড়া করে যাত্রীদের বাস থেকে ফেলে হত্যার ঘটনাও মাঝে-মধ্যেই ঘটছে। এছাড়া প্রায় প্রতিদিনই যাত্রীবাহী বাসের চালক-শ্রমিকরা নানা প্রকার অপরাধে জড়াচ্ছেন।
যাত্রীবাহী বাসের চালক-শ্রমিকরা মনে করেন, একই কোম্পানির অনেক বাস থাকায় কোন বাসে তারা অপরাধ করছেন এটা ভুক্তভোগী নির্দিষ্ট করে বলতে পারবেন না। কারণ ভুক্তভোগী বা অন্য যাত্রীরা বাসের নম্বর জানেন না। বাস্তবতা হলো, লোকাল বা সাধারণ মানের বাসে কাউন্টারভিত্তিক টিকেট থাকে না, থাকলেও টিকেটে বাসের নম্বর উল্লেখ থাকে না। তাছাড়া নম্বর প্লেট বাসের সামনে ও পেছনে থাকার কারণে যাত্রীরাও নম্বর দেখে বাসে ওঠে না। ফলে বাসের শ্রমিকরা এক প্রকার নিরাপত্তা বোধ করেই অপরাধে জড়ান। যদিও অধিকাংশ অপরাধের পরে অপরাধীরা ধরা পড়েন। কিন্তু অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পরে ধরা পড়লে তো আর ক্ষতি পুষিয়ে যায় না।
এই বাস্তবতায়, বাসের ভেতরে যদি বাসের নিবন্ধন নম্বর বড় করে লেখা থাকে, তাহলে যাত্রীরা নম্বরটি তাদের পরিচিতদের কাছে মোবাইলের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিতে পারেন। এতে করে বাসের চালক শ্রমিকরা মনে করবেন, তারা অপরাধ করে পার পাবেন না। কারণ বাসের নম্বর যাত্রীরা আগেই পরিবার-পরিজনকে জানিয়ে দিয়েছেন। অতএব তাদের দ্বারা কোনো যাত্রীর ক্ষতি হলে পুলিশ তাদের দ্রুত গ্রেফতার করবে। এই ভয়ে তারা বাসে কোনো ধরনের অপরাধ করতে সাহস পাবেন না।
এই বিবেচনায়, রোড সেফটি ফাউন্ডেশন মনে করে, বাসের ভেতরে বাসের নিবন্ধন নম্বর প্রদর্শনই বাসে চালক-শ্রমিক কর্তৃক সংঘটিত অপরাধ প্রতিরোধের সবচেয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ। তাই সংগঠনটি সকল যাত্রীবাহী বাসের ভেতরে নিবন্ধন নম্বর প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানায়। একইসঙ্গে সংগঠনটি যানবাহনের মালিক ও শ্রমিকদের মোটিভেশনাল প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোধ করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।