গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
১০ ডিসেম্বর রাজপথে নামা তো দূরের কথা, বিএনপি নেতারা বাসা থেকেই বের হবেন না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে নয়াপল্টন (জামাতখানা) ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অন্তর্গত পল্টন থানা ও ১৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘মির্জা ফখরুলরা অসুর বধের কথা বলছেন, আসলে অসুর তো তারাই। ‘১০ ডিসেম্বর সরকার চলবে বিএনপির কথায়’ এমন বক্তব্যে দিয়ে বিএনপি নেতারা বিজয়ের মাসকে কলঙ্কিত করতে চাইছেন।’
হানিফ বলেন, ‘বিজয়ের মাসকে টার্গেট করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছেন। দেশের জনগণ বিএনপির কোনো কথাই বিশ্বাস করেন না। ১০ ডিসেম্বর রাজপথে নামা তো দূরের কথা, তারা বাসা থেকেই বের হবেন না।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘দেশের সার্বিক উন্নয়নে এখন শেখ হাসিনার জয়গান করছেন জনগণ। অধির আগ্রহে দেশবাসী অপেক্ষা করছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে আবারো শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য। নৌকার বিজয় কারো পক্ষে ঠেকানো সম্ভব নয়।’
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যারা ক্ষমতায় থাকতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিরোধী দলীয় নেত্রীকে হত্যার চেষ্টা করতে পারেন, তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না।’
হানিফ বলেন, ‘তথাকথিত আন্দোলনে নামে সারা দেশে অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বিএনপি। তাদের ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসীরা দেশের যে প্রান্তেই থাকুক, খুঁজে এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করা হবে। বিএনপির সন্ত্রাসীরা এতদিন ঘাঁপটি মেরে ছিল। এখন আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। কোনো লাভ হবে না। বিএনপির ঘাঁপটি মেরে থাকা সন্ত্রাসীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।’
এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘দেশের জনগণ আর বিএনপিকে ক্ষমতায় বসতে দেবে না। তাই একবার বলে রোজার ঈদের পরে, আরেকবার বলে কুরবানি ঈদের পরে, এখন আবার তারিখ দিয়েছে ডিসেম্বর মাস। এর মূল কারণ, বিজয়ের মাসকে কলঙ্কিত করার জন্যই ১০ ডিসেম্বরকে টার্গেট করেছে। কারণ এই মাস মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিনিধিত্ব করে। তারা আবার সেই পাকিস্তানি পরাজিত শক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করতেই আবার বাংলার স্বাধীনতার বিজয়ের মাসকেই বেছে নিয়েছে। কিন্তু বাংলার মাটিতে তা আর হতে দেওয়া হবে না।’
পল্টন থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাউন্সিলর এনামুল হক আবুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তবা জামান পপির সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সহ-সভাপতি আবদুস ছাত্তার মাসুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী মোর্শেদ কামাল, কার্যনির্বাহী সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শাহে আলম মুরাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক চৌধুরী সাইফুন্নবী সাগর, দফতর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এফ এম শরিফুল ইসলাম প্রমূখ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কামাল চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাহমিনা সুলতানা।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড.আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি ও উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।