Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডিম উৎপাদনের ৭০-৮০ শতাংশ খরচ হয় ফিডে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০২২, ৮:৪৫ পিএম

একটি ডিম উৎপাদনে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ খরচ হয় পোল্ট্রি ফিডে উল্লেখ করে বাংলাদেশ পোল্ট্রি আ্যসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, ‘ফিডের মূল্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রান্তিক খামারিদের একটি ডিম উৎপাদনে খরচ হয় ১০ টাকা ১৮ পয়সা। অন্যদিকে কম্পানিগুলোর খরচ অনেক কম হয়। তাই ডিম উৎপাদনের ক্ষেত্রে কম্পানিগুলোর সঙ্গে আমরা পেরে উঠছি না। বর্তমানে অনিয়ন্ত্রিতভাবে মেডিসিনের দাম বাড়ছে। এক বছর আগে বস্তা প্রতি যে ফিডের দাম ছিল ২২শ’ টাকা এখন এর দাম ৩ হাজার টাকা। ডিম শিশু থেকে বয়স্ক সকলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ আমিষ। ন্যায্য মূল্যে ডিম কিনতে হলে প্রান্তিক খামারিদের আগে টিকিয়ে রাখতে হবে।’

শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সকালে বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে তিন দিনব্যাপী কৃষি পণ্য ও খাদ্য প্রদর্শনী মেলায় দেওয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সুমন হাওলাদার বলেন, ‘প্রান্তিক খামারিরা টিকে না থাকলে ভবিষ্যতে প্রতি পিস ডিম ২০টাকা করে খেতে হবে। কারণ ডিমের এই বাজার আস্তে আস্তে কর্পোরেট কম্পানিগুলোর হাতে চলে যাচ্ছে। প্রান্তিক খামারিরা টিকতে না পারলে সরকার ভবিষ্যতে চেষ্টা করলেও ডিমের দাম আর কমাতে পারবে না।’

উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার কারণে তিনি কিছু দাবি তুলে ধরে বলেন, ‘খামারগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো: ১. খাদ্য, ওষুধ ও বাচ্চাসহ বিভিন্ন সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি, ২. উৎপাদিত ডিমের ন্যায্য মূল্য না পাওয়া, ৩. এভিয়ান ইনফ্লয়েঞ্জা, কাউল কলেরাসহ বিভিন্ন রোগে হাই মটলিটি ও মিডল ম্যান ও সিন্ডিকেটের পুরাপুরি নিয়ন্ত্রণ।’

এই সঙ্গে এ সমস্যাগুলো থেকে উত্তরণের উপায়ও তিনি তুলে ধরে বলেন, ‘পোল্ট্রি বোর্ড গঠন, ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের প্রণোদনা প্রদান, সহজ শর্তে ঋণ প্রদান, সরকারি ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, প্রান্তিক খামারিদের প্রশিক্ষণ প্রদান, পোল্ট্রি জোন নামে খ্যাত এলাকাগুলোতে পোল্ট্রি কনসালট্যান্ট নিয়োগ।’

প্রান্তিক খামারিরা মনে করেন সরকার এই দাবিগুলো বাস্তবায়ন করলে খামার মালিকরা সস্তায় প্রোটিন উৎপাদন ও সাপ্লাই দিতে পারবে। সেই সাথে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। সরকার প্রান্তিক খামারিদের ব্যাপারে সময় মতো সিদ্ধান্ত না নিলে, সামনে তাদের জন্য দুর্ভিক্ষ অনিবার্য।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ