Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

খেরসনে ইউক্রেনীয় সেনাদলের অগ্রসর, বাসিন্দাদের সরিয়ে নিচ্ছে রাশিয়া

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০২২, ১০:৩৮ এএম

ইউক্রেনের বন্দরনগরী খেরসন থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে রাশিয়া সাহায্য করবে বলে জানিয়েছে। কারণ রাশিয়া এই অঞ্চলকে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ বলে ঘোষণা করার পর থেকে ইউক্রেনের বাহিনী এই অঞ্চলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং রুশ বাহিনী তাদের অধিকৃত অঞ্চলের ওপর থেকে ক্রমশ দখল হারাচ্ছে। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস বলেছে, ইতিমধ্যে খেরসন থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ইউক্রেন বাহিনী পাল্টা আক্রমণ শুরু করার পরপরই খেরসনে রুশ নিয়োগকৃত গভর্নর ভ্লাদিমির সালদো এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের সরে যেতে বলেছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক ভিডিও বিবৃতিতে তিনি খেরসনের বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে সরিয়ে নেওয়ার জন্য মস্কোর কাছে পরিবহন-সহায়তা চেয়েছিলেন।

সালদো বলেছেন, ‘প্রতিদিন খেরসন অঞ্চলের শহরগুলো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হচ্ছে। এ জন্য খেরসনের রুশ কর্তৃপক্ষ এই অঞ্চলের মানুষদের অন্য কোথাও সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।’

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, খেরসন থেকে বেসামরিক নাগরিকদের একটি দল আজ শুক্রবার রাশিয়ার রোস্তভ অঞ্চলে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সম্প্রতি ইউক্রেনের যে চারটি অঞ্চলকে নিজেদের ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার দাবি করেছে রাশিয়া, তার মধ্যে খেরসন একটি। এই অঞ্চলকে কৌশলগত কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। কারণ ক্রিমিয়া উপদ্বীপে যাওয়ার একমাত্র স্থলপথ রয়েছে খেরসনের মধ্যে। আর ক্রিমিয়াকে ২০১৪ সালে দখল করেছে রাশিয়া।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অক্টোবরের শুরু থেকে এই অঞ্চলে আক্রমণ বাড়িয়েছে ইউক্রেনের বাহিনী। তারা এখন খেরসনের দিনিপার নদীর পশ্চিম তীরের দিকে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। ফলে রুশ সেনাদের প্রতিরোধব্যবস্থায় ফাটল ধরেছে। তারা ক্রমশ পিছু হটছে। সূত্র : আল-জাজিরা



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ