Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাশিয়া জ্বালানি বাজারে ‘কারো বিরুদ্ধে’ কাজ করছে না

সেন্ট পিটার্সবার্গে আমিরাত প্রেসিডেন্টের একান্ত আলোচনায় পুতিন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

ওয়াশিংটন ওপেক প্লাসের কঠোরভাবে তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করার এক সপ্তাহ পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেছেন, মস্কো জ্বালানি বাজারে কারো বিরুদ্ধে কাজ করছে না।
গতকাল মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সাথে কথা বলার সময় পুতিন বলেছেন যে, রাশিয়ার লক্ষ্য জ্বালানির বাজারে স্থিতিশীলতা তৈরি করা এবং সরবরাহ ও ব্যবহার ভারসাম্যপূর্ণ নিশ্চিত করা।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আল-বায়ানের তথ্য অনুসারে, উভয় নেতা দেশগুলোর ‘বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক’-এর পাশাপাশি, ‘আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সমস্যা এবং অভিন্ন স্বার্থের উন্নয়ন’ নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাদের মধ্যে সেন্ট পিটার্সবার্গে ওয়ান টু ওয়ান আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। বেশ কয়েক দিন ধরে মি. পুতিন এখানেই অবস্থান করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য আরো তেল সরবরাহের আহ্বান সত্ত্বেও রাশিয়া এবং ইউএই অন্তর্ভুক্ত তেল উৎপাদকদের জোট ওপেক-প্লাস অপরিশোধিত দাম বাড়ানোর জন্য উৎপাদন সীমিত করতে সম্মত হওয়ার এক সপ্তাহ পর ইউএই শাসকের সফরের খবরটি সামনে আসে।

সেন্ট পিটার্সবার্গে বৈঠকে পুতিন বলেন, ‘আমরা ওপেক প্লাসের কাঠামোর মধ্যেও সক্রিয়ভাবে কাজ করছি। আমি জানি আপনার অবস্থান, আমাদের কাজ, আমাদের সিদ্ধান্ত কারো বিরুদ্ধে পরিচালিত নয়, আমরা এমনভাবে যাচ্ছি না এবং করব না যাতে কারো জন্য সমস্যা তৈরি হয়’।

আমাদের পদক্ষেপগুলো বিশ্বব্যাপী জ্বালানির বাজারে স্থিতিশীলতা তৈরির লক্ষ্যে, যাতে উভয় জ্বালানির সংস্থান ভোক্তা এবং উৎপাদনের সাথে জড়িত, বিশ্ব বাজারে সরবরাহকারীরা শান্ত, স্থিতিশীল এবং আত্মবিশ্বাসী বোধ করে। যাতে সরবরাহ এবং চাহিদা ভারসাম্যপূর্ণ হয়’।

ক্রেমলিন রোববার ওপেক প্লাসের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, এ পদক্ষেপ দেশগুলোর একটি ভারসাম্যপূর্ণ, চিন্তাশীল এবং পরিকল্পিত কাজ ছিল, যারা ওপেকের মধ্যে একটি দায়িত্বশীল অবস্থানে রয়েছে’।

ওপেক-প্লাসের এ সিদ্ধান্ত সংস্থাটির অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি করেছে। হোয়াইট হাউস একটি বিবৃতিতে বলেছে যে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ‘উৎপাদন কোটা কমানোর জন্য ওপেক-প্লাসের অদূরদর্শী সিদ্ধান্তে হতাশ, যখন বিশ্ব অর্থনীতি ইউক্রেনে পুতিনের আক্রমণের অব্যাহত নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলা করছে।’ সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতার সফরের ঘোষণার পর দুবাইয়ের সাবেক অর্থপ্রধান টুইটারে বলেন, মোহাম্মদ রাশিয়ার দিকে যাচ্ছেন একটি ইউরোপীয় যুদ্ধে (প্রশমিত করতে), যা বিশ্বকে ক্লান্ত করে দিয়েছে’।

জ¦ালানি শক্তির পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান ‘ফ্যাক্টস গ্লোবাল এনার্জি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমান নাসেরি বলেছেন, ‘ভ্রমণটি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ বলে মনে হচ্ছে এবং এ অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রচেষ্টা হিসাবে প্রদর্শিত হচ্ছে’। তিনি বলেন, ওপেকের দুই প্রধান নীতি নির্ধারক সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সউদী আরব গত সাত থেকে আট মাসে বিভিন্ন উপায়ে রাশিয়ার প্রতি তাদের সমর্থন দেখিয়েছে: আগের ওপেক-প্লাস চুক্তি বজায় রেখে আগস্টে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের অনুরোধের প্রতি খুব সামান্য প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরা শহরে রাশিয়ান পেট্রোলিয়াম পণ্য পুনরায় রফতানির মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার প্রভাবকে নমনীয় করে। সূূত্র : সিএনবিসি, আরটি, তাস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ