পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কমলাপুর রেলস্টেশনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক কিশোরী (১৬)। ওই কিশোরী মা-বাবার সঙ্গে রাগ করে ট্রেনযোগে কমলাপুর রেলস্টেশনে আসেন। সেখানে আসার পর স্টেশনের পানি বিক্রেতা ইমরান তাকে নিরাপত্তা দেয়ার কথা বলে কৌশলে ফাঁকা ট্রেনে নিয়ে যায়। পরে অন্যরাসহ পলাক্রমে ধর্ষণ করে। গত শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে রেলস্টেশনে থেমে থাকা একটি ট্রেনে ধর্ষণের শিকার হন তিনি। গতকাল শনিবার ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক বিভাগে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ঢাকা রেলওয়ে থানায় ভুক্তভোগী কিশোরী বাদি হয়ে করা মামলায় অভিযুক্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলো- সুমন (২১), নাঈম (২৫), নাজমুল (২৫), আনোয়ার (২০), রোমান প্রকাশ কালু (২২)। তবে মূল অভিযুক্ত ইমরান (২০) পলাতক রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় ধোয়া মোছার কাজ করে। স্টেশন এলাকার চিহ্নিত মাদকসেবী তারা। যেখানে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে অসামাজিক কার্যকালাপের অনেক আলামত রয়েছে।
ভুক্তভোগী কিশোরী ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, তিনি অবিবাহিত। এর আগেও একাধিকবার বাবা-মার সঙ্গে রাগ করে ঢাকায় এসেছিলেন। তখন কমলাপুর রেলস্টেশন, বিমানবন্দর এলাকায় থেকেছেনও। তবে ধর্ষণকারীরা তার পরিচিত না।
ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) এসআই রিয়াজ মাহমুদ বলেন, ভুক্তভোগী কিশোরীর বাড়ি নেত্রকোনা জেলায়। পেশায় তেমন কিছুই করেন না তিনি। বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে রাগ করে শুক্রবার বিকেলে হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়ে রাতে ঢাকার কমলাপুর আসেন। সেখানে ৪/৫ নম্বর প্লাটফর্মে বসে থাকা অবস্থায় পানি বিক্রেতা ইমরান নামে এক যুবকের সঙ্গে তার কথা হয়। সে ওই কিশোরীকে বিভিন্ন কথা বলে প্লাটফর্মের একটি ব্রেঞ্চে শুয়ে থাকতে বলে এবং তাকে কেউ কিছু বললে ইমরানের পরিচয় জানাতে বলে। অনেক রাত হয়ে গেলে তখন তাকে এক নম্বর প্লাটফর্মে তুরাগ কমিউনিটি লোকাল ট্রেনের বগিতে শুয়ে থাকতে বলে একপাশের দরজা আটকে দেয়। এরপর ওপর পাশের একটি দরজা দিয়ে ঢুকে ইমরানসহ তার আরও ৫ সঙ্গী মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। রাত একটার দিকে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্যকে সেখানে দিয়ে যাতায়াত করতে দেখে ধর্ণষকারীরা ভয়ে পালিয়ে যায়। তখন নিরাপত্তাকর্মীর সন্দেহ হলে তিনি উঁকি দিয়ে দেখেন, রেলের বগির ভিতর পড়ে আছেন ওই কিশোরী। পরে তিনি থানায় খবর দেন। এরপর তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় কিশোরীকে।
তিনি আরো জানান, রাতেই ওই কিশোরীর সানাক্তের মাধ্যমে স্টেশন এলাকা থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়। এই ঘটনায় ইমরান নামে অভিযুক্ত যুবক এখনও পলাতক রয়েছে।
ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) ওসি ফেরদাউস আহম্মেদ বিশ্বাস জানান, ভুক্তভোগী কিশোরী বাদি হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।