Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দৌলতদিয়ায় ৫ নম্বর ফেরিঘাট এক মাসেও চালু হয়নি

ঘাট আধুনিকায়ন কাজ নিয়ে গড়িমসি, ৮ বছরেও প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটটি এক মাসেও চালু করা সম্ভব হয়নি। ঘাটটির অ্যাপ্রোচ সড়কের বেশ কিছু অংশ নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যায়, তারপর থেকে ঘাটটি বন্ধ রয়েছে। বিআইডব্লউটিএ’র আরিচা অঞ্চলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোগবুল হোসেন বলেন, নদীর পানি ও স্রোত কমলে ঘাটটি পুনরায় সচল করা হবে।
বিআইডব্লিটিএ সূত্রে জানা যায়, গত ৭ সেপ্টেম্বর পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতের কারণে ৫ নম্বর ফেরিঘাট নদী ভাঙনের কবলে পড়ে। এরপর থেকে এ ঘাট দিয়ে সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ২০১৪ সালে পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙনে দৌলতদিয়ার ১ ও ২ নম্বর ঘাট ভেঙে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। তবে অবৈধভাবে ২ নম্বর ঘাটটি দিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির সিমেন্ট, পাথর, বালুর কার্গোজাহাজ তাদের পণ্য রপ্তানির কাজে ব্যবহার করছে। ৭টি ঘাটের মধ্যে ৩টি দিয়ে সকল যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। বাকি ৪টি ঘাট ভাঙনের কবলে পড়লেও জোড়া তালি দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।
এদিকে গুরুত্ব বিবেচনায় বিআইডব্লিউটিসি’র চাহিদা মোতাবেক বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ ২০১৪ সালে দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাট আধুনিকায়ন প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। নানা জটিলতার কারণে ৮ বছরেও ওই প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এই ৮ বছরে এক দফতর থেকে অন্য দফতরে শুধু ফাইল চালাচালিই হয়েছে। মূলত নদী ভাঙন এলাকায় দৃশ্যমান কোন কাজই হয়নি।
দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাটকে স্থায়ীভাবে রক্ষা করতে পাউবো বিআইডব্লিটিএকে প্রস্তাব দিলে বিআইডব্লিটিএ দৌলতদিয়া প্রান্তে লঞ্চঘাট থেকে ৭ নম্বর ফেরি ঘাট পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিলোমিটার ও পাটুরিয়া ৪টি ঘাট এলাকায় আড়াই কিলোমিটার এলাকায় স্থায়ী কাজসহ ৭ কিলোমিটার এলাকার জন্য ৬৩৪ কোটি টাকার একটি বিল একনেকে জমা দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে বিলটি পাশও হয়। কিন্তু দ্রব্যমূল্যে ঊর্ধ্বগতির দোহাই দিয়ে কাজটি শুরু করা হয়নি। পরবর্তী বছরে ২০১৭ সালে বিআইডব্লিটিসি কর্তৃপক্ষ রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ৭টি ও পাটুরিয়ার ৪টি ঘাটসহ মোট ১১টি ঘাটের তিনটি করে স্তর হাই ওয়াটার, মিড ওয়াটার ও লো ওয়াটার অথ্যাৎ ৩৩টি ঘাট করার জন্য নকশার পরিবর্তন আনতে বললে পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৩৫১ কোটি টাকার একটি বিল পুনরায় জমা প্রদান করে। যে কারণে ওই নকশার যাচাই বাচাই করতে ফাইলটি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠায় বিআইডব্লিটিএ কর্তৃপক্ষ। নকশা অনুমোদন অপেক্ষায় সেখানেই মুখ থুবরে পড়ে আছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌবন্দর আধুনিকায়ন প্রকল্পটি।
বিআইডব্লিটিএ’র আরিচা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, পদ্মা নদীর পানি কমার পরও নদী ভাঙন অব্যাহত আছে। ভাঙনরোধে আমরা জিও ব্যাগ ফেলে যাচ্ছি। তাছাড়া দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাট আধুনিকায়ন প্রকল্পটি ১৩৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে বিল জমা দেওয়া হয়েছে। নকশার কাজও প্রায় শেষ প্রান্তে। দুই এক সপ্তাহের মধ্যেই নকশা হাতে পাওয়া যাবে। জমি অধিগ্রহণের জন্য বিআইডব্লিটিএ ভূমি মন্ত্রণালয়ে পত্র দিয়েছে। সব ঠিক থাকলে আগামী নভেম্বরে মাসে ঘাট আধুনিকায়নের কাজ শুরু হবে। সেখানে বিআইডব্লিটিএ বিআইডব্লিটিসি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সমন্বয়ে কাজ করবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দৌলতদিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ