২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
যেহেতু ৬ মাসের পর থেকে শিশুকে মায়ের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবার দেয়ার প্রয়োজন হয় তাই এ সময় কিছু বিষয় মেনে চলা আবশ্যক।
৭ মাস বয়সের শুরুর দিকে ভাতের মাড়, ফলের রস জাতীয় একেবারে তরল দিয়ে শুরু করতে হবে। পরবর্তীতে চটকানো খাবার দিতে হবে। বিভিন্ন ধরনের খাদ্য উপাদানের সংমিশ্রণের মাধ্যমে শিশুর খাদ্যের পুষ্টিমূল্য বাড়ানো যায়। নি¤েœাক্ত কিছু খাবার এসময় দেয়া যেতে পারে –
হালুয়া: বিভিন্ন হালুয়া এসময়ে শিশুরা পছন্দ করে। ডালের, গাজরের, আলুর হালুয়া দেয়া ভালো।
পুডিং : ঘরে তৈরি পুডিং শিশুকে খাওয়ানো যেতে পারে।
পায়েস : পায়েস তৈরি করে শিশুকে দেয়া ভালো।
খিচুড়ি : চাল ও বিভিন্ন রকম ডাল অর্ধভাঙা করে শাক-সবজি, মুরগি, মাছ বা কলিজার টুকরো সিদ্ধ করে সামান্য তেল এর মিশ্রণে থকথকে খিচুড়ি শিশুর জন্য ভালো।
সবজি সিদ্ধ করা স্যুপ : টাটকা সবজি সিদ্ধ করা স্যুপ শিশুর জন্য অত্যন্ত ভালো।
পাতলা দুধ বা ফলের রস : পাতলা দুধ বা ফলের রস শিশুকে দেয়া যেতে পারে।
দুধ-রুটি : দুধ দিয়ে রুটি ভিজিয়ে সকালের খাবারে দেয়া যায়।
দুধ-কলা : দুধ দিয়ে কলা চটকিয়ে নাস্তা হিসেবে দেয়া যায়।
সিদ্ধ ডিম : ভালোভাবে সিদ্ধ করা ডিম শিশুকে খাওয়ানো যায়।
কলিজা, মাছ বা মাংস সিদ্ধ : কলিজা, মাছ বা মাংস নরম টুকরো সিদ্ধ করে দুধ বা পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে।
শিশুকে খাওয়ানোর ব্যাপারে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। নয়তো পেটের অসুখ, বদহজম, কৃমি হয়ে শিশুর স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে। বাইরের খাবার শিশুকে খাওয়ানো একেবারেই উচিৎ নয়।
নি¤েœাক্ত কিছু খাবার এ সময় পরিহার করা উচিৎÑ
লবণ : শিশুদের বেশি লবণ খাওয়া উচিত নয়, কারণ এটি তাদের কিডনির জন্য ভালো নয়। শিশুর খাবার বা রান্নার পানিতে অতিরিক্ত লবণ যোগ করা যাবে না এবং লবণ জাতীয় খাবার অথবা নোনতা খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
চিনি : শিশুর দুধে চিনির প্রয়োজন নেই। চিনিযুক্ত খাবার এবং পানীয় এড়িয়ে চললে শিশুর দাঁতের ক্ষয় রোধ হতে সাহায্য করবে।
সম্পৃক্ত চর্বি : স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে এমন খাবার শিশুকে দেওয়া যাবে না, যেমন চিপস, বিস্কুট, পাউরুটি এবং কেক।
মধু ও কৌটাজাত খাদ্য : মাঝে মাঝে, মধু ও কৌটাজাত খাদ্যে ব্যাকটেরিয়া থাকে যা শিশুর অন্ত্রে বিষাক্ত পদার্থ তৈরি করতে পারে এবং যা শিশুর বোটুলিজমের দিকে পরিচালিত করে, যা একটি অত্যন্ত গুরুতর অসুস্থতা। শিশুর বয়স ১ বছরের বেশি না হওয়া পর্যন্ত মধু দিলে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। মধু একটি চিনি, তাই এটি এড়ানো দাঁতের ক্ষয় রোধেও সাহায্য করবে।
আস্ত বাদাম এবং চিনাবাদাম : আস্ত বাদাম এবং চিনাবাদাম তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে দেয়া উচিত নয়, কারণ এটি খেতে গিয়ে শিশুর শ্বাসরোধ হতে পারে। বাদাম এবং চিনাবাদাম গুঁড়ো করে অথবা বাটার আকারে কম পরিমাণে দেয়া যেতে পারে। এটাতে পরিবারে বাবা-মায়ের অ্যালার্জির ইতিহাস থাকলে শিশুর অ্যালার্জি হবার সম্ভাবনা থাকে।
পনির : কিছু পনির ‘লিস্টেরিয়া’ নামক ব্যাকটেরিয়া বহন করে। সেক্ষেত্রে, পনির দিতে সাবধানতা অবলম্বন করা লাগতে পারে। পনির একটি স্বাস্থ্যকর, সুষম খাদ্যের অংশ এবং ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও ভিটামিন সরবরাহ করে।
কাঁচা এবং হালকা সিদ্ধ ডিম : কাঁচা এবং হালকা সিদ্ধ ডিম এড়িয়ে চলতে হবে, এতে টাইফয়েডের সালমোনেলার মত জীবানু থাকতে পারে। মুরগির ডিমের পরিবর্তে রাজহাঁস বা কোয়েলের ডিম কম ঝুঁকিপূর্ণ।
স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কর্মকর্তা, মানবিক সাহায্য সংস্থা।
সিনিয়র পুষ্টিবিদ (এক্স) - কিংসটন হাসপাতাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।