Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাউজানে নাইট গার্ডকে বেঁধে দোকান চুরি!

২৩টি সিসি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন

রাউজান (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০২২, ১২:১০ পিএম

রাউজানে নাইট গার্ডকে বেঁধে দূর্ধষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের জগন্নাথহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। বাজার কমিটি ও চুরি হওয়া দোকান মালিকরা জানান ১০/১১ জন মুখোশ লাগানো ও হাফপ্যান্ড পড়া চোর চক্র কয়েকটি সিএনজি অটোরিকশা যোগে এসে বাজারে রক্ষিত ২৩টি সিসি ক্যামরার লাইন কেটে এবং ৩জন নাইট গার্ডকে বেঁধে ৫টি দোকানের তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা ও মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

জানাগেছে, পুলিশের এমার্জেন্সি ৯৯৯ ফোন করলে পুলিশ এসে নাইট গার্ডদেরকে রশি দিয়ে বেঁধে রাখা থেকে উদ্ধার করে।

বাজার কমিটির সভাপতি মেম্বার জাহাঙ্গীর ও সেক্রেটারী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, আমাদের সন্দেহ এরা ডাকাতি করতে এসেছিল। পুলিশ আসার খবর পেয়ে তারা পালিয়েছে। চোরের আঘাতে বাজারের নাইট গার্ড মমতাজ সওদাগরের মাথা ও গলা ফুলে গেছে। তার পড়নের লুঙ্গি ছিড়ে তার মূখ বেঁধে রাখা হয়। অপর দু পাহাড়াদার দিদার ও টুকুকেও বেঁধে টাওয়ার গলিতে পেলে রাখা হয়। বাজারের বাসু সওদাগরের ব্যাক্তিগত সিসি ক্যামরা চালু থাকায় চোর চক্ররের আংশিক দৌঁড়াদৌঁড়ি ঐ ক্যামরাতে রেকর্ড হয়। বাজারের ট্রেইলার কর্মচারী বখতিয়ারকে মেরে গুরুতর আহত করে। সে এখন মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।

চুরি হওয়া দোকানদাররা হল সিরাজ চেয়ারম্যানের মুদির দোকান, নুর মোহাম্মদের লাইব্রেরী, মামুন ট্রেডার্স, নাজিমের মুদির দোকান, সুমনের মুদির দোকান। এদের প্রত্যকের দোকানের তালা কেটে নগদ টাকা ও মালামাল নিয়ে যায়।
স্থানিয় ইউপি সদস্য মিটুশীল জানান, তারা ডাকাতির উদ্দেশ্যে এসেছিল। প্রত্যক্ষদর্শী বাজারের পাশের বাসিন্দা শহর থেকে ধর্মীয় অনুষ্টান শেষে বাড়ীতে আসা মাওলানা সৈয়দ তৈয়বুর রহমান জানান, আমি রাত ৩টা ১০ মিনিটে বাজারে দেখতে পায় কয়েকজন মুখোশ পড়া লাল রঙ্গের হাফ প্যান্টপড়া লোক আমাকে দেখে বলে উঠেন আপনি চলেযান আমরা রাজনৈতিক সমস্যার কারণে এসেছি। তৈয়ব বলেন, তাদের দেখে আমার হাত-পা কাঁপতে থাকে। আমার পিছনে পিছনে ওরা ৩ জন আমার বসত ঘর পর্যন্ত গিয়ে আবার ফিরে আসে। সকালে জানতে পারি বাজারে দোকান চুরি হয়েছে।
রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আলহারুন মুঠোফোনে বলেন, চুরির ঘটনায় পুলিশ দ্রুত গিয়ে পাহাড়াদারদের উদ্ধার করে।তিনি জানান খুব দ্রুত চোর সনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে বাজার ব্যবসায়ীরা বলেন, বাজারের এক কিলোমিটার ব্যবধানে চিকদাইর পুলিশ ফাঁড়ি। তারা তীক্ন নজর রাখলে বাজারে এমন কাজ করতে পারতোনা চোরচক্র। ডাবুয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্জ আবদুর রহমান বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় চুরি হওয়া দোকানদারদের দেখতে এসে পুলিশ ডিউটির অবহেলা উল্ল্যেখ করে বলেন বাজারের অদূরে পুলিশ ফাঁড়ি, তারা আন্তরিকতা নিয়ে একটু দায়িত্ব পালন করলে অসম্বভকে সম্বভ করা সম্বভ। অনেকের ধারনা স্থানিয় চোর চক্র জড়িত না থাকলে এতবড় ঘটনা ঘটানো সম্বভ না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চুরি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ