Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পশ্চিম তীরে এবছর শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলি সেনা

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ অক্টোবর, ২০২২, ১২:১০ পিএম

অধিকৃত পশ্চিম তীরে এবছর ইসরাইলি সামরিক বাহিনী অভিযান চালিয়ে এপর্যন্ত অন্তত একশো জন নিরীহ ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই সংখ্যাটি পেয়েছে বিভিন্ন তথ্য সংকলনের মাধ্যমে।

এ বিষয়ে বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শনিবার পূর্ব জেরুজালেমে ১৮ বছরের এক তরুণকে গুলি করে হত্যার পর এই সংখ্যা একশোতে পৌঁছায়। এর আগের সপ্তাহে ইসরাইলি বাহিনী জেনিন শহরের একটি বাড়ি লক্ষ্য করে ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছিল বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল। সেই হামলায় একজন বন্দুকধারী এবং আরও তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিল।

এর মানে হচ্ছে, ২০১৫ সালের পর এ বছরটি হতে যাচ্ছে পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের জন্য সবচেয়ে রক্তাক্ত একটি বছর। বেশিরভাগ ফিলিস্তিনিকে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী গুলি করে হত্যা করেছে। অন্য কিছু ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে সশস্ত্র বেসামরিক ইসরাইলিরা। অল্প কয়েকটি ঘটনায় গুলির উৎস নিয়ে বিতর্ক আছে- এটি ইসরাইলিদের নাকি ফিলিস্তিনিদের দিক থেকে এসেছে। একজন নিহত হয়েছিল ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর পরিচালিত এক অভিযানের সময়।

নিহতদের প্রায় এক পঞ্চমাংশ হচ্ছে শিশু এবং এ নিয়ে মানবাধিকার সংস্থাগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। নিহত একজনের বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী যখন এক ফিলিস্তিনি পরিবারের বাড়িতে অভিযান চালায়, তখন সেখানে সাত বছর বয়সী এক শিশু হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে মারা গিয়েছিল। এই শিশুটির ভাইরা পাথর ছুঁড়ছিল বলে অভিযোগ তুলে ইসরাইলিরা ঐ বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র এ-সপ্তাহে এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছে। তবে ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলছে, তারা তাদের তল্লাশি অভিযানের সঙ্গে এই শিশুর মৃত্যুর কোন সম্পর্ক প্রাথমিক তদন্তে দেখতে পাচ্ছে না।

যারা নিহত হয়েছে তাদের মধ্যে আছে ফিলিস্তিনি চরমপন্থী সংগঠনের বন্দুকধারী থেকে শুরু করে অনেক কিশোর এবং তরুণ, যারা নাকি পাথর বা পেট্রোল বোমা ছুঁড়ছিল। আছে অনেক নিরস্ত্র বেসামরিক মানুষ বা পথচারী, বিক্ষোভকারী এবং ইসরাইলি বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কর্মী। ইসরাইলি সেনা বা বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে ছুরি বা অন্য কোন অস্ত্র দিয়ে কথিত হামলার সময়ও নিহত হয়েছে কয়েকজন।

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা অভিযোগ করছেন, ইসরাইল এখন রাস্তাঘাটেই ফিলিস্তিনিদের 'বিনা বিচারে হত্যা' করছে। তবে এই একই সময়ে ইসরাইলিদের বিরুদ্ধে গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক সহিংসতাও হয়েছে। গত বসন্তে আরব ইসরাইলি এবং ফিলিস্তিনিরা বেশ কিছু মারাত্মক হামলা চালিয়েছিল, যাতে ১৬ জন ইসরাইলি এবং দুজন বিদেশি নিহত হয়। এরপর থেকে ইসরাইল প্রায় প্রতি রাতেই অধিকৃত পশ্চিম তীরে সামরিক অভিযান চালাতে শুরু করে। ইসরাইলি কর্মকর্তারা বলছেন, তারা সন্ত্রাসবাদের ক্রমবর্ধমান হুমকিকে শক্ত হাতে দমন করবেন।

যেরকম গতিতে ইসরাইল এসব সামরিক অভিযান চালাচ্ছে, তা একটি ব্যাপকতর সংঘাতের আশংকা বাড়িয়ে দিয়েছে। ইসরাইলি বাহিনী প্রতিদিন রুটিন-মাফিক মাত্রাতিরিক্ত শক্তি-প্রয়োগ করছে এবং সবাইকে পাইকারি হারে সাজা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে পশ্চিম তীরে পশ্চিমা দেশ-গুলোর সমর্থনপুষ্ট যে ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বাহিনী, তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে সশস্ত্র ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলো। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সামরিক সক্ষমতা অনেক বেড়েছে।

ইসরাইলি বাহিনীর এসব অভিযানের সময় প্রায়শই জেনিন বা নাবলুসের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় তরুণ এবং নতুন করে অস্ত্রসজ্জিত চরমপন্থীদের মধ্যে বন্দুক-যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। পশ্চিম তীরের উত্তরাংশে যে নিরাপত্তা ভেঙ্গে পড়েছে, সেজন্যে ইসরাইলি এবং ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা পরস্পরকে দোষারোপ করছেন। গত অগাস্টে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক তৎকালীন প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট বলেছিলেন, "অনেক হত্যাকাণ্ডই আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে মনে হচ্ছে এবং সেখানে জবাবদিহিতার কোন বালাই নেই।"

ইসরাইল সেখানে কোন যুদ্ধাপরাধ করছে কিনা, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত তা তদন্ত করছে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, তারা এবছরের আরও অনেক হত্যার ঘটনা এই তদন্তের তালিকায় ঢোকানোর চেষ্টা করবে। গত অগাস্টে গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলি বাহিনী এবং ইসলামিক জিহাদের মধ্যে এক সামরিক সংঘাতের সময় আরও ৪৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এবছর ইসরাইলের ভেতর হামলা চালাতে গিয়ে যে ফিলিস্তিনিরা নিহত হয়েছেন, তাদেরকে এই ১০০ জন নিহত ফিলিস্তিনির তালিকার মধ্যে ধরা হয়নি। সূত্র: বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসরাইল-ফিলিস্তিন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ
function like(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "clike_"+cid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_like.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function dislike(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "cdislike_"+cid; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_dislike.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rlike(rid) { //alert(rid); var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rlike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_like.php?rid="+rid; //alert(url); xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rdislike(rid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rdislike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_dislike.php?rid="+rid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function nclike(nid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "nlike"; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com//api/insert_news_comment_like.php?nid="+nid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } $("#ar_news_content img").each(function() { var imageCaption = $(this).attr("alt"); if (imageCaption != '') { var imgWidth = $(this).width(); var imgHeight = $(this).height(); var position = $(this).position(); var positionTop = (position.top + imgHeight - 26) /*$("" + imageCaption + "").css({ "position": "absolute", "top": positionTop + "px", "left": "0", "width": imgWidth + "px" }).insertAfter(this); */ $("" + imageCaption + "").css({ "margin-bottom": "10px" }).insertAfter(this); } }); -->