যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
কিডনিজনিত সমস্যা যে কারোর জন্যই বেশ আতঙ্কের বিষয়। বিশেষ করে কিডনি বিকল হয়ে যাওয়া। আজকাল কম বয়সীদের মধ্যেও কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী জীবনযাপনের অনিয়ম, ডায়াবেটিস, ভুল ডায়েট ইত্যাদি।
কেন কিডনি বিকল হয়? এর কারণ কী? কীভাবেই বা বুঝবেন কিডনির স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত-
কিডনি বিকলের কারণ কী?
কিডনি বিকল হওয়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ। হঠাৎ কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দিলে তাকে অ্যাকিউট কিডনি ফেইলিউর বলে।
কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাব্য কিছু কারণ হলো-
অটোইমিউন কিডনি রোগ
নির্দিষ্ট ধরণের ওষুধ
পানিশূন্যতা
প্রস্রাবের পথে বাধা
হৃদরোগ
লিভারের রোগ
মনে রাখবেন, কিডনি রাতারাতি বিকল হয় না। এর জন্য সময় লাগে। একজন ব্যক্তির উভয় কিডনি বিকল হতে কয়েক মাস থেকে এক বছর সময় লাগে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে তা শরীরে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ক্রমাগত অতিরিক্ত চিনির কারণে কিডনিসহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
কিডনি সমস্যার জন্য অনেকাংশে উচ্চ রক্তচাপও দায়ী। অতিরিক্ত উচ্চ রক্তচাপের কারণে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিডনি বিকলও হতে পারে এ কারণে। এছাড়া দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে-পলিসিস্টিক কিডনি রোগ, যা একটি বংশগত অবস্থা। এই সমস্যা হলে কিডনির ভেতরে একটি সিস্ট তৈরি হয়।
উপসর্গ কী কী?
কিডনি বিকল হওয়ার প্রাথমিক উপসর্গগুলি অনেকেই দেখতে পান না। দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের কারণে কয়েকটি উপসর্গ দেখা যায়। এগুলো হলো-
ক্লান্তি
পেটে ব্যথা বা বমি
ডিমেনশিয়া
হাত বা গোড়ালির চারপাশে ফুলে যাওয়া
ঘন ঘন বাথরুমে যাওয়া
পেশীতে টান
ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া
চুলকানি ইত্যাদি
প্রতিদিন কিডনিজনিত রোগে ভোগা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। তাই এই সমস্যাগুলো থাকলে এখনই সচেতন হোন। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।