Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফরিদপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেফতার- ৩

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৬:৪৯ পিএম

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় এক ঠিকাদারের কাছে থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাদের ফরিদপুরের কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।

শুক্রবার,বিকেলে, সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতাররা হলেন, সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমামুল খান (২৫), উপজেলা ছাত্রলীগের আরেক সহ-সভাপতি আবু মুসা ওরফে প্রিন্স মুসা (২২) ও জসীম মোল্যা (২০) নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী। গ্রেফতারকৃত সবার বাড়িই উপজেলার মাঠ সালথা নামক এলাকায়।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে ও থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্র জানা যায়, ফরিদপুরের তাসা কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি উপজেলা সদরের মাঠ সালথার কলেজ রোড এলাকায় দুই কিলোমিটার রাস্তার কার্পেটিং কাজ করছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে উক্ত কাজের মালামালের ট্রলি ঠেকিয়ে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন ৮-১০ জন যুবক। এসময় ট্রলির ড্রাইভারকে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে মারপিট করে ও রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে ঠিকাদার থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রলীগের দুই নেতাসহ তিন জনকে গ্রেফতার করে। এসময় অন্যরা পালিয়ে যায়।

এব্যাপারে তাসা কনস্ট্রাকশনের সত্ত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম বলেন, "ওই এলাকার কয়েকজন যুবক কক্সবাজারে যাবার খরচ চেয়ে রাস্তার মালামালের ট্রলি গাড়ি আটকিয়ে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। এর আগে তাদের ৫ হাজার টাকা দিয়েছেন বলে দাবী এ ঠিকাদারের। পরে চাঁদাদাবীর বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এব্যাপারে থানাতে একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।"

তবে সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে গ্রেফতারকৃত উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু মুসার ভাই ইলিয়াস মোল্যা বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি রাস্তায় নিম্নমানের কাজ করছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমার ভাইসহ স্থানীয় কয়েকজন ছেলেপেলে প্রতিবাদ করেন। তাদের কাছে চাঁদাদাবীর বিষয়টি ভিত্তিহীন।

এব্যাপারে সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়মোহন রায় বলেন, "ছাত্রলীগ ভালো কাজ করলে সুনাম হয় ; আবার খারাপ কাজের সাথে জড়িত হলে দুর্নাম পুরো সংগঠনের উপর পড়ে। তবে, আমি বিষয়টি শুনেছি। তবে, সেখানকার একটি পক্ষ বলছে রাস্তার নিম্নমানের কাজ হচ্ছে বলে কাজের বাঁধা দেওয়া হয়েছে। আবার, আরেকটি পক্ষ বলছে ট্রলি থামিয়ে তারা চাঁদা দাবী করেছে। তাই আমরা সত্য মিথ্যা যাচাই করতে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবো। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরে সাংগঠনিকভাবে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

এব্যাপারে বক্তব্য জানতে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

অপরদিকে একই বক্তব্য জানতে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহামেদের মুঠোফোনেও একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়

এব্যাপারে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন, চাঁদাবাজীর অভিযোগে থানাতে একটি এজাহার দায়েরের পর তিন যুবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী কি-না তা আমার জানা নেই। গ্রেফকৃতদের দুপুরে ফরিদপুরের কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্রেফতার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ