মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পশ্চিমা দেশগুলোর একের পর এক নিষেধাজ্ঞার পরও রাশিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রপ্তানি ঊর্ধ্বমুখী ছিল। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের পর এ খাত থেকে আয়ও বেড়েছে লক্ষণীয় মাত্রায়। তবে চলতি মাস থেকে রপ্তানিতে টান পড়তে শুরু করেছে। ইউরোপের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে রপ্তানি ব্যাপকহারে কমবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ফলে পণ্যটির বৈশ্বিক সরবরাহ ঘাটতি চরম আকার ধারণ করবে।
চলতি মাসের প্রথমার্ধে সমুদ্রপথে রাশিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রপ্তানি দৈনিক ৯ লাখ ব্যারেল করে কমেছে। প্রশান্ত মহাসাগরে ঝড় ও বাল্টিক সাগর দিয়ে কার্গোর মাধ্যমে জাহাজীকরণ অপ্রত্যাশিতভাবে কমে যাওয়াকে এর পেছনে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৬ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে রাশিয়া গড়ে দৈনিক ২৫ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রপ্তানি করে। ২ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে রপ্তানি করা হয়েছিল গড়ে দৈনিক ৩৪ লাখ ২০ হাজার ব্যারেল।
সে হিসাবে রপ্তানি দৈনিক ৯ লাখ ব্যারেল করে কমেছে। চার সপ্তাহের গড় হিসাব বলছে, ৫ মাসের মধ্যে রাশিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রপ্তানি প্রথমবারের মতো দৈনিক ৩০ লাখ ব্যারেলের নিচে নেমেছে।
সব মিলিয়ে রপ্তানি কমে যাওয়ার অর্থ হলো পুতিন সরকারের আয়ও সমানতালেই কমছে। এমনকি আগামী অক্টোবর পর্যন্ত এ খাত থেকে বৈদেশিক আয় কমতে থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। কারণ অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের রপ্তানি শুল্ক ১৫ শতাংশ কম। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর তথ্য বলছে, যদি রপ্তানিতে এমন নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তবে প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেল থেকে রাশিয়ার আয় কমে দেড় বছরের সর্বনিম্নে নামবে।
ফিনল্যান্ডভিত্তিক থিংকট্যাংক সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি এন্ড ক্লিন এয়ারের (সিআইইএ) দেয়া তথ্যানুযায়ী, ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর প্রথম ছয় মাসে রাশিয়া জীবাশ্ম জ্বালানি রপ্তানির মাধ্যমে আয় করেছে ১৫ হাজার ৭০০ কোটি ডলার (১৫ হাজার ৮০০ কোটি ইউরো)।
এর মধ্যে ৫৪ শতাংশই আমদানি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলো। অর্থাৎ এ ৬ মাসে অঞ্চলটি রাশিয়ার কাছ থেকে ৮ হাজার ৪৭০ কোটি ডলারের (৮ হাজার ৫০০ কোটি ইউরো) অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ক্রয় করেছে।
ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির (আইইএ) দেয়া তথ্য বলছে, গত আগস্ট পর্যন্ত রাশিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রপ্তানি বেশ ভালো রকম স্থিতিশীল ছিল। যুদ্ধপূর্ব অবস্থার তুলনায় মাত্র দৈনিক ৪ লাখ ব্যারেল নিচে ছিল রপ্তানির পরিমাণ। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে বিশ্ববাজারকে দৈনিক ২৪ লাখ ব্যারেল সরবরাহ সংকটে পড়ার প্রস্তুতি নিতে হবে। অতিরিক্ত দৈনিক ১০ লাখ ব্যারেল জ্বালানি পণ্য ও ১৪ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের জন্য নতুন গন্তব্য খুঁজে নিতে হবে বলেও জানিয়েছে আইইএ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।